মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
পবিত্র ঈদুল আজহা /কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার পশুর হাটগুলো ততই জমে উঠতেছে। এবারের কোরবানির পশুর হাটে ছোট এবং মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে।
তবে হাটে প্রচুর পরিমাণ গরু-ছাগল উঠলেও সেই তুলনায় পশু বিক্রি কম বলে দাবি করছেন ইজারাদাররা।
এবার কোরবানির পশুর হাটে চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।উপজেলার জলদী মিয়ার বাজার, শীলকুপ টাইম বাজার, ভাদালিয়া হারুন বাজার, সরল বাজার রামদাস হাট সহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা সখের বসে অথবা বেশি দামের আশায় বিভিন্ন জাতের ষাঁড় লালনপালন করে বড় করেছেন, এ বছর তারা বিপাকে পড়েছেন। সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার উপরে হাটে কোনো গরু বিক্রি হয়নি। এক খামারি বলেন, বাজারে বড় জাতের গরুর চাহিদা খুবই কম!বিভিন্ন মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরে যোগাযোগ করেও বড় গরুর ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না!
এবার বিত্তশালী ক্রেতারা বিভিন্ন কারণে আত্মগোপনে থাকায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না বলে ধারণা করছেন অনেকই।
জলদী মিয়ার বাজারের ইজারাদারের এক প্রতিনিধি বলেন,বিগত বছরের তুলনায় এবার হাটে পশু বেশি উঠেছে এবং দামও তুলনামূলক কম। গত বাজারে বেচাকেনা কম হলেও আজ বুধবার জলদি মিয়ার বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ভালো এবং বিক্রিও হয়েছে বেশি ।
হাটে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,আজ বুধবারের বাজার জলদি মিয়ার বাজার ঈদের শেষ বাজার হওয়াতে মিয়ার বাজারে আশানুরূপ কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়
“ঈদের আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শেষ দুটি হাটে বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা এই দুই দিনের মধ্যে সবাইকে পশু কিনতেই হবে।
বাজারে ঘুরে দেখা যায় যে,কোরবানির গরু (পশু) বাজারে বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড় দেখা গেছে।আজ বুধবার পৌরসভার মিয়ার বাজার এবং শীলকুপ টাইম বাজার ও রামদাশ মুন্সির হাটে লোকসমাগত ছিল চোখে পড়ার মত। এমনি দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ী ও খামারিরা ঈদুল আজহা উপেক্ষা গরু, মহিষ, ছাগল (পশু) পালন করে আসছে লাভের আশায়। কয়দিনে বৃষ্টিতে তাদের মাথায় হাত পড়লেও বুধবার বিকালে একটু রোদ দেখলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় বাজারে।
এবার স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২০/৩০টি বাজার বসেছে বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে । তাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি ও জাল টাকা রোধে মেশিন বসানো হয়েছে।
বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান যে,আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলায় প্রায় ২০/২৫টি পয়েন্টে বাজার বসেছে। পশুরহাটে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি প্রতিরোধে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় হাট কেন্দ্রিক পুলিশের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।