সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, পরিদর্শনে সীতাকুণ্ড ইউএনও।
আনোয়ার হোসেন রকি, সীতাকুণ্ড চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
সীতাকুণ্ড জঙ্গল সলিমপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এর খবর পেয়ে আজ (২রা জুন) রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসেন
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জনাব ফখরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন, তিনি বলেন সম্প্রীতির বাংলায় অবিচারের ঠাই নাই, যারা এমন নেক্কাকজনক কাজে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার নির্দেশ প্রদান করেন, ভবিষ্যতে কোথাও কেউ যেন এমন কর্মকান্ড করার সাহস না দেখান এই জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা দরকার। আমরা বাংলাদেশী, এই দেশে আমরা হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ যত ধর্মালম্বী আছেন তাদের সাথে নিয়ে বসবাস করবো, আমরা সবাই মিলেমিশে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো, যারা মন্দির পুড়িয়ে তা দখল করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না,আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি মুজিবুর রহমান সহ আরো অনেকেই
মন্দিরটি জঙ্গল সলিমপুরের ২ নম্বর সমাজ এলাকায় অবস্থিত।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ি গ্রামে সর্বজনীন শ্রীশ্রী মহাশ্মশান কালী ও শিবমন্দির নামে একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। ঘটনার খবর পেয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, মন্দিরের জায়গাটি দখলে নেওয়ার জন্য একদল দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করেছে। আরও তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্দির কমিটির সভাপতি অমর মজুমদার বলেন, মন্দিরটি টিনশেডের তৈরি। ভেতরে কালী প্রতিমা ছিল। দুর্বৃত্তরা প্রতিমাটিকে মন্দির থেকে বের করে পাশের জমিতে ফেলে ভেঙে দেয়। পরে মন্দিরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আজ রোববার সকালে তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে মন্দিরটি আগুনে পুড়ে ছাই অবস্থায় দেখেন। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন