সবনাম কাব্য স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুর টঙ্গীর যুবদল নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে গত সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী শাহানুর ইসলাম রনি সরকার ২১ বছর ধরে বাবার সুস্বাস্থ্য ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য দোয়া চেয়ে মানুষের ধারে ধারে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
২০০৪ সালের ৭ই মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার ও শিক্ষার্থী ওমর ফারুক রতনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আহত হন ১৭ জন।
পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টার এর ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম সরকার সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল আদালত নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও দু’জনকে খালাস দেন। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। পাশাপাশি আসামিদের পক্ষ থেকে জেল আপিল করা হয়। বাদী পক্ষের কালক্ষেপণ ও বার বার অনাস্থায় মোট ৮টি বেঞ্চ পরিবর্তনের পর ২০১৬ সালের ১৫ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। রায়ে ছয় জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়েছে এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১ জন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জন মোট ১১ জনকে খালাস এবং সাত জনের ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় নুরুল ইসলাম সরকারকে হুকুমের আসামি করা হলে তিনি উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। উচ্চ আদালতের অন্তবর্তীকালীন জামিন শেষে তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান।
প্রায় দীর্ঘ ২১ বছর ধরে তিনি এ মামলায় কারাগারে আটক আছেন। শাহানুর ইসলাম রনি সরকার দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ কে বলেন জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছি কিন্তু যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দরকার সেই বাবার বিচ্ছেদ শূন্যতায় কেটেছে ২১ বছর আর কতদিন কত মাস কত বছর কাটবে জানা নেই তিনি আরো বলেন আমার বাবা যুবদল নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি যতদিন না মানা হবে ততদিন এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।