আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
তাপদাহ উপেক্ষা করে শনিবারের বিকেলে মনিরামপুরের পৌরশহর মুখরিত হয়ে উঠেছিল নানা রঙের ও স্বাদের ফলের সমারোহে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘”সংশপ্তক শিল্পী সংগঠন” ও কালান্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফল উৎসব ২০২৫’ এ ছিল যেন এক টুকরো গ্রীষ্মের বাগান।
উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল দেশীয় ফলের বিপুল সমাহার। আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, আনারস, তরমুজ, ফুটি, লটকন, গোলাপজাম, ডেউয়া, করমচা, আমড়া সহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রজাতির মৌসুমি ফল প্রদর্শিত হয়। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে এসব ফল চেখে দেখার সুযোগ পান। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ফল চেখে দেখার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ।
সংশপ্তকের সভাপতি সায়ফুল আলম দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ কে জানান, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় ফলের প্রচার ও প্রসারে সহায়তা করা। বর্তমান সময়ে ফলের ভেজাল রোধ এবং ফরমালিনমুক্ত ফল গ্রহণে মানুষকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।” তিনি আরও বলেন, “শহরের নতুন প্রজন্মকে দেশীয় ফলের সাথে পরিচিত করানো এবং তাদের ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলাও আমাদের এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।”
উৎসব প্রাঙ্গণে আগত অধ্যাপক বাবুল আকতার বলেন, “এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশীয় ফল আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ধরনের উৎসব ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।”
উৎসব উপলক্ষে ফল নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে
‘ফল উৎসব ২০২৫’ শুধু একটি উৎসব ছিল না, এটি ছিল দেশীয় ফলকে বাঁচিয়ে রাখার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় উৎসাহিত করার একটি অনন্য প্রচেষ্টা। ‘
সংশপ্তক কালান্তরের এই উদ্যোগ মনিরামপুর বাসীর কাছে ভূয়সী প্রশংসা কুড়।