চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
হারুন অর রশীদ, জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, র্যালি ও তামাক বিরোধী রচনা প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল দশটার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, তামাক সমাজে শুধু স্বাস্থ্যগত নয়, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অর্থনৈতিক ক্ষতির অন্যতম উৎস। সচেতনতা ও কার্যকর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তামাকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে এবং তা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে।
আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে আমাদের সমাজকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব। এজন্য প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শারমিন আক্তার, ওসি (তদন্ত)আলী আজগর, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল্লাহ মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মাহমুদুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন, সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল মালেক, মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সুরাইয়া জেসমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি হাফেজ ওমর ফারুক, ছাত্র প্রতিনিধি রাকিব মাহমুদ, আরাফাত রহমান,পার্থিব হাসান, শারণ। তামাক বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতায় ১স্থান অধিকারী আলমডাঙ্গা একাডেমীর দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সায়েম আদনাস, ২য় স্থান ব্রাইট মডেল স্কুলের ৯ শ্রেণীর শিক্ষার্থী কানিজ সুলতানা কথা, ৩ স্থান সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র খন্দকার নাসিম। আলোচনা সভায়
বক্তারা বলেন, তামাক জনস্বাস্থ্যের জন্য এক মহা হুমকি। এটি শুধু ধূমপানকারীর নয়, পরোক্ষভাবে আশপাশের মানুষের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে। তারা আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পর্যায়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা তামাকবিরোধী প্রচারণা জোরদার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং জনসমাগমস্থলে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।