1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো জেন বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঝর্ণা

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো জেন বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঝর্ণা

জহিরুল ইসলাম হৃদয় মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি।

মাদারীপুর সদর উপজেলার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ঘরের টিনে মরিচা ধরেছে, ছিদ্র হয়ে গেছে কোথাও কোথাও খুলে পড়েছে টিন।
একটু বৃষ্টি হলেই ফুটো চাল দিয়ে পানি পড়ে ঘরের ভেতর, উপায় না পেয়ে বসবাসকারীরা পলিথিন পাটখড়ি ও কাপড়ের সাহায্যে ছাউনির ছিদ্র বন্ধ করে কোনো রকমে পার করছেন দিন রাত।
দেখা যায়, সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের চর দক্ষিণপাড়া এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মনির ফকির ২০০৭ সাল থেকে আছেন ওই ঘরে পরিবার নিয়ে বাস করছেন, সেই ঘরটি বসবাসের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । ভেঙে গেছে পাকা মেঝ’ও হয়েছে টিনের চালায় ছিদ্র, পড়েছপ লোহার কাঠামোতে মরিচা, সব মিলিয়ে এখন এজ ঝুঁকিপূর্ণ এক পরিবেশ হয়ে দাড়িয়েছে।
বৃষ্টির রাতে পরিবার নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় এখন তাদের।
৭০ বছর বয়সী ফুলমতির ঘরেও একই অবস্থা।
বৃষ্টির পর ঘরের মেঝে তৈরি হয় কাদায় পরিণত, এক মাঠ, শুকাতে দিতে হয় পড়নের পোশাক সহ ঘরের সকল জিনিসপত্র। এমন পরিস্থিতি’তে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় প্রতিটি ঘরেই বিদ্যমান রয়েছে। কেউ কেউ নিজের উদ্যোগে চালায় দিয়েছেন পলিথিনের চাল বা ছাউনি।
সাময়িকভাবে চেষ্টা করেছেন পানি পড়া ঠেকানোর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯০টি পরিবারের জন্য নির্মিত ৯টি টিনশেড ব্যারাক ঘর বর্তমানে ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় রয়েছে। কোনো রকমে বসবাস করলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।
আশ্রিতরা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া’য় ঘরগুলো এখন হয়ে উঠেছেন মরন ফাদ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
তবুও অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়ে এসব ঘরেই দিন কাটাচ্ছেন পরিবার নিয়ে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, আমি কুনিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শন করেছি। আপাতত এসব ঘরের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
শুধু দু-একটা ঘরের সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেত, কিন্তু প্রায় সব ঘরেরই একই অবস্থা।
তাই কিছুটা সময় লাগবে।
প্রকল্পটিতে রয়েছে ৯টি ব্যারাক, যেখানে প্রতিটি ব্যারাকে ১০টি করে কক্ষ রয়েছে, মোট ৯০টি পরিবারকে একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে ১২টি শৌচাগার ও ৪টি গোসলখানা।
কবরস্থান, খেলার মাঠ ও সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট