লিবিয়ার কারাগার হতে সন্তানদের মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
সেক মোহাম্মদ আফজাল বিশেষ প্রতিনিধি
লিবিয়া থেকে দালাল চক্রের সাথে স্বপ্নের দেশ ইতালী পাড়ি দিতে চেয়েছিল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রামনগর গ্রামের ইসাহাক বিশ্বাসের ছেলে নাসির মিয়া (২৫) একই সাথে নাসিরের বন্ধু নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া,মানিক্য নগর গ্রামের মোঃ গোফরানের ছেলে সাব্বির হোসেন (২২)।
২৮ মে বুধবার বেলা ২ টার সময় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রাম নগর গ্রামে এক সাংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দুই ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে নাসির মিয়ার পিতা ইসাহাক বিশ্বাস বলেন আমার ছেলে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যায় সেখান থেকে দালালের খপ্পরে পড়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মাফিয়া চক্রের হাতে বিক্রি করে দেয় এবং সেখানে জিম্মি করে অমানুষিক নির্যাতন করে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে ফোন দেয় আমার নিকট বলে ২১ লক্ষ টাকা টাকা দিলে তোমার ছেলে (নাসির) কে ছেড়ে দিব, তারপর আামার ছেলেকে ফোন ধরিয়ে দেয় ছেলে বলে আব্বা আামাকে বাঁচান যেভাবেই হোক টাকা ম্যানেজ করে পাঠান নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, তারপর আমি ব্যাংকে এবং বিকাশের মাধ্যমে ২২ লক্ষ টাকা পাঠানোর পর মাফিয়া চক্র থেকে মুক্তি দিলেও লিবিয়া সরকার তাদের জেল হাজতে বন্দী করে রেখেছে। সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সাব্বিরের পিতা অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন আমার ছেলের সাথে নাসিরের বন্ধুত্ব হয় সেই সুবাদে সাব্বির ও ইতালিতে যাওয়ার সময় মাফিয়াদের হাতে জিম্মি হয়ে আমি ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছি তবুও দেশে ফিরতে পারেনি আমার ছেলে।
মাফিয়া চক্রের হাতে ২৩ দিন জিম্মি ছিল।
লিবিয়াতে এখন নাসির মিয়া এবং নোয়াখালীর সাব্বিরের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বাংলাদেশে ফিরতে পারছে না তাই নাসির এবং সাব্বিরের পরিবার বাংলাদেশ সরকারের নিকট আকুতি জানিয়েছেন তাদের যেন লিবিয়ার ত্রিপোলি কারাগার থেকে দ্রুত ফিরিয়ে আসে তাদের পরিবারের কাছে।