রফিকুল ইসলাম রনজু (কুড়িগ্রাম)
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করি, জমি সুরক্ষিত রাখি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী (২৫-২৭) ভূমি মেলা ২০২৫। ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা।
উদ্বোধনী আয়োজন শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা।
আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায়, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. আসাদুজ্জামান, এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাকির হোসেন। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলী, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্বাগত বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আওয়ার নিউজ বিডি ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি এসএম আশরাফুল হক রুবেল এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলার সেক্রেটারি মো. নিজাম উদ্দিন এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব। চরাঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বারোপ করেন হাসিব।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, “দলিল-দখল যার, জমি তার”—এই নীতিতে ভূমি ব্যবস্থার জটিলতা কমাতে হবে। এ বিষয়ে আরও সচেতনতা দরকার।
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সরকারের ভূমি ব্যবস্থাকে স্বয়ংক্রিয় করার উদ্যোগে জনগণের ভোগান্তি কমছে। কুড়িগ্রাম নদী ও ভাঙনের জেলা হওয়ায় নিয়মিত দিয়ারা জরিপ জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “১৬১২২ নম্বরে কল করে বা land.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও ভূমি-সংক্রান্ত নানা সেবা পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই এই সেবাগুলো সম্পর্কে জানেন না, ফলে তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হন।”
আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক সদর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি সমস্যাগুলোর সমাধানের আশ্বাস দেন।