ধুলাবালি ও কেমিক্যালযুক্ত বর্জ্যে জন-জীবন হুমকিতে নোয়াখালীতে তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ মোজাম্মেল হোসেন কামাল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: নোয়াখালী বেগমগঞ্জের একলাশপুর জনবসতিপূর্ণ স্থানে বিগত সরকারের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে কে এম তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডস পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ফ্যাক্টরীটি চালু রাখায় পরিবেশ এবং প্রতিবেশী ক্ষতিসাধন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৮/১১/২৪ তারিখে ৪২৯ নং স্মারকে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কে সুপারিশ করেছে নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার। এর আগেও এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাহাদাত উল্ল্যাহ গং এবং তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডস লি: কর্তৃপক্ষকে বিগত ৬ অক্টোবর নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের শুনানীর দিন ধার্ষ্য থাকলেও ২১/১০/২৪ বাদী -বিবাদীর উপস্থিতিতে শুনানি হয়। বর্নিত শুনানির পেক্ষিতে সরেজমিনে দেখার দরকার মনে হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিলন হোসেন তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডস ফ্যাক্টরী সরেজমিনে পরিদর্শন কালে খোরশেদ আলম এর মালিকানাধীন কে এম তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডস কারখানার পরিবেশগত ছাড় পত্রের ৩ ও ৫ নং শর্ত ভঙ্গ করে নতুন ড্রায়ার ইউনিট এবং বয়লার স্হাপনের মাধ্যমে বায়ু দুষন হচ্ছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধ প্রতিয়মান হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক খোরশেদ আলম কে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ২৭ /১০/২৪ ইং ৩৯০ নং স্মারকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়। তাজ কোম্পানির মালিক মোঃ খোরশেদ আলমের জবাব সন্তোষ জনক না হওয়ায় ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক কে চিঠি পাঠান নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার। সরেজমিনে গিয়ে দেখায়ায়, ঘনবসতি এলাকায় তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডস কারখানার পরিবেশের ক্ষতিসাধন হচ্ছে মর্মে ভুক্তভোগীদের দেখানো আলামতে প্রতীয়মাণ হয়। তাজপোল্ট্রি এন্ড ফিডস কারখানার বাউন্ডারি ঘেঁষা মিয়া বাড়ীর মিয়া সাহেব বলেন, বহু আশা করে বাড়ি নির্মাণের দৃষ্টি নন্দন গেট করলেও এখানে বসবাস করতে ভয় হচ্ছে। কারখানার ক্ষতিকর ধুলাবালি ও বর্জ্যেের দুর্গন্ধে শাষকষ্টসহ ক্যান্সার হওয়ার ভয়ে থাকতে কেউ চাচ্ছে না। ফ্যাক্টরী ঘেঁষা বসবাসকারী ভুক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন বলেন, একালাবাসীর এত অভিযোগ দেওয়ার পরও অদৃশ্য প্রভাবে ফ্যাক্ট্ররীটির ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধে কোন কার্যকর ভূমিকা দেখাযায়নি। তাই অতিষ্ঠ হয়ে আজ শত-শত বৃদ্ধ নারী-পুরুষ ও শিশুরাসহ রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করতে বাধ্য হয়েছি । এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, আমরা ২০১১ সাল থেকে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েছি, উল্টো বিভিন্নভাবে হয়রানি হচ্ছি কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি, আমাদের ঘনবসতিপুর্ণ জায়গায় দুটি মাদ্রাসা,একটি মসজিদ আছে, শতাধিক পরিবার অসুস্হ্য হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সরেজমিনে এসে পরিবেশ ও প্রতিবেশ এর ক্ষতি সাধনের সত্যতা পেলেও উর্ধতন কর্মকর্তা এখনও কোন ব্যবস্হা নেননি। অনি নামে মহিলা বলেন তাজ কোম্পানি আমাদের ৩৬ ডিসিমেল জায়গা তাদের দখলে নিয়েছে, আমরা কোট কাচারীতে তাদের সাথে পারছি না, তাদের টাকার কাছে আমরা অসহায়। লিটন বলেন, আমার কিছু জায়গা তারা বর্জ্য পেলে দখল করার চেষ্টা করছে। শামিম বলেন, আমার বিল্ডিংয়ের পিলার পর্যন্ত কাজ করেও আর কাজ করতে পারছি না, দুর্গন্ধ ও ধুলোবালি কারনে বাসা ফেলে চলে যাইতে হবে, প্রতিবাদ করলে প্রশাসন দিয়ে চাঁদাবাজি মামলার ভয় দেখায় তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডসের লোকজন। অনু নামে বৃদ্ধা মহিলা বলেন, ভাত তরকারি ডেকে রাখলেও বালু- চালুতে খাইতে পারি না, আমাদের বাচাঁন স্যার, আমরা বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত মারা যাবো, ইতিমধ্যে কেমিক্যাল ও দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্যে শত শত শতক কৃষি জমি ও গাছ পালার ফসর হচ্ছে না। তাজ পোল্ট্রি এন্ড ফিডস কারখানার ব্যবস্হাপনার দায়িত্বে থাকা পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের ডেকেছে, আমরা গিয়েছে, লিখিত বক্তব্য দিয়েছি, আমরা ধুলাবালি কন্ট্রোল করেছি, আপনি আসুন, দেখেযান, ধুলাবালি আমাদের মেশিন থাকে, সংরক্ষণ করে আমরা এ গুলো বিক্রি করে ফেলি, বাহিরে যাওয়ার কথা নয়। কারো জমি আমাদের দখলে নেই। তিনি প্রতিবেদকের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন।
...বিস্তারিত পড়ুন