ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নামে বিএনপি নেতার মানহানি মামলা
স্টাফ রিপোর্টার আদিলুর রহমান গফরগাঁও ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় দুই সাংবাদিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম শমসের আলী।
শনিবার (২৪ মে) ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অমিত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শমসের আলীর দায়ের করা মামলার আবেদন আদালত গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ১৯ মে ২০২৫ইং ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের সামনে টোল আদায়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন স্থানীয় কয়েকটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মানববন্ধনে বর্তমান ইজারাদার ও ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌসিফ ইবনে মান্নানের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টোল আদায়, ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়।
শমসের আলীর দাবি, মানববন্ধনের প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার ও শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর ছবি ব্যবহার করে ‘চাঁদাবাজ শমসের, বাটপার শমসের’ লেখা প্লেকার্ড বানান এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, কবির হোসেন, আজাহারুল ইসলাম রিপনসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে।
দৈনিক জনবাণীর ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তরফদার বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মানববন্ধনের খবর আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে সংগ্রহ করেছি। কিন্তু এতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে।’
অপর দৈনিক তৃতীয় মাত্রা ও দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু সংবাদ করেছি। এটিই আমার অপরাধ। আমি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
ঐ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কবির হোসেন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও পৌর বি এন পির সদস্য আজহারুল আলম রিপন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, কৃষকদল নেতা ফখরুদ্দিন মাসুমসহ আরও অনেকে।
তাঁরা অভিযোগ করেন, বাজার ইজারার নামে একটি চক্র অবৈধ উপায়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। শমসের আলী এই প্রক্রিয়ায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে একেএম শমসের আলী বলেন, ‘আমি সাংবাদিকবান্ধব মানুষ। কিন্তু আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এতে আমার মানহানি হয়েছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি