বাড়েদাহে ডাবল ক্রাইমে মণিরামপুরে আতংকের ছায়া
আবু রায়হান, স্টাক রিপোর্টারঃ
গত ২২মে বিকালে যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাড়েদাহ গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নোয়াপাড়া পৌর শাখার কৃষকদলের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একটি ঘের দখলের অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয় তরিকুল ইসলাম।
পরবর্তীতে আনুমানিক রাত ৮টার পরপরই বাড়েদাহ গ্রামের ১৪টি বসতবাড়িতে একযোগে অগ্নিকাণ্ডের ঘঠনা ঘটলে ১টি ভিডিও মুহূর্তেই অনলাইনে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী বিকালে খুন হওয়া কৃষকদল নেতা তরিকুলের অনুসারীরা এ অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে।
অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী বাজার ও মণিরামপুর উপজেলার মশিহাটির মাঝ বরাবর বাড়েদাহ গ্রামের অগ্নিকাণ্ডের আকার ব্যাপকতা ধারণ করায় অভয়নগর ফায়ার সার্ভিস ও মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি টিম কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মণিরামপুর থানা, অভয়নগর থানা, যশোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স, সেনাবাহিনী, যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা সহ স্তরভিত্তিক নিরাপত্তার চাদরে মুহুর্তেই ঐ এলাকায় রেড এলার্ট জারি করে প্রশাসন। সে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ খবর নিতে বাড়েদাহে উপস্থিত হতে দেখা যায় যশোর পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
এদিকে বিকালে খুন রাতে ১৪টি বসতভিটায় একযোগে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অভয়নগরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মণিরামপুরেও জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
ঘটনাবহুল এ ডাবল ক্রাইম নিয়ে মণিরামপুর উপজেলার রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এমনকি জনসাধারণের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু এখন বাড়েদাহের লোমহর্ষক বিষয়।
কিভাবে কি হলো? কারা ঘটালো? কেন হত্যা?কেন অগ্নিকাণ্ড? এখন কি অবস্থা বিরাজ করছে ডাবল ক্রাইমের গ্রামে! এমন সব আলোচনায় পাশাপাশি উপজেলা মণিরামপুরেও আতংকিত জনসাধারণ।