বগুড়া শেরপুরে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কেল্লাপোষী মেলা উদযাপন
আল মামুন বগুড়া (শেরপুর )উপজেলা প্রতিনিধি:
বগুড়া শেরপুরে শুরু হয়েছে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কেল্লাপোষী মেলা। প্রতি বছর জৈষ্ঠমাসের দ্বিতীয় রবিবার থেকে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের কেল্লাপোষী নামক স্থানে এ মেলা বসে।সময়ের বিবর্তনে মেলার জনপ্রিয়তা অনেকটা হরিয়ে গেছে। মেলাকে ঘিরে এলাকার মেয়ে জামাইদের আনন্দ উল্লাসের কোন কমতি নেই।এ মেলা স্থানীয়দের কাছে "জামাইবরণ মেলা" নামে পরিচিতও বটে। আনুমানিক ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমেলা হয়ে আসছে। জানা যায় বৈরাগ নগরের বাদশা সেকেন্দারের একজন ঔরসজাত এবং একজন দত্তক ছেলে ছিলেন।একজনের নাম গাজী মিয়া আরেক জনের নাম ছিল কালু মিয়া।গাজী মিয়া দেখতে খুবই সুদর্শন ছিলেন। তারা রাজ্যের মায়া ত্যাগ করে ফকির সন্নাসীর বেশ ধারণ করে ঘুরতে ঘুরতে ব্রাহ্মণ নগরে আসেন।সেখানে ব্রাহ্মণ রাজমুকুটের একমাত্র কণ্যা চম্পা গাজীকে দেখে মুগ্ধ হন। একপর্যায়ে তারা দুজন দুজনের প্রেমে পরেন।বিষয়টি জানতে পেরে পালিত ভাই কালু মিয়া বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে রাজার দরবারে যান।রাজা ফকিরবেশী যুবকের এমন প্রস্তাবে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বন্দী করেন। এতে গাজী মিয়া অনেক কষ্ট পান। তিনি মুকুট রাজার নিকট থেকে ভাই কালু মিয়াকে উদ্ধার করার জন্য কেল্লাপোষী দূর্গ তৈরী করেন। পরে রাজার সাথে যুদ্ধ করে ভাই কালু মিয়াকে উদ্ধার করেন ও রাজার মেয়ে চম্পা কে বিয়ে করেন। ওই সময় গাজীর বিয়ে উপলক্ষে কেল্লাপোষী দূর্গে নিশান উড়িয়ে আনন্দ উৎসব করা হয়। বিয়ের দিনটি ছিল জৈষ্ঠমাসের দ্বিতীয় রবিবার। সেই বছর থেকেই শুরু হয় এই কেল্লাপোষী মেলা। এমেলা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকেই মেয়ে জামাদের দাওয়াত দেয়া হয়। মেলাতে সার্কাস, যাত্রা,চরকি, পুতুল নাচ, মোটর সাইকেল খেলাসহ বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের আয়োজন করা হয়।এছারা বিভিন্ন রকমের বাহারি মিষ্টি,মৌসুমি ফল, বড় বড় মাছ আমদানি হয়। প্রত্যেক বছর দূর দূরান্ত থেকে লাখো মানুষের সমাগম হয় ।আনন্দ মুখরিত হয়ে ওঠে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।