1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কাচা রাস্তায় কাদাজলের কারনে, নামাজ আদায় ও কবরস্থানে লা*শ নিতে ভোগান্তি গজারিয়ায় প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার দিলেন কামরুজ্জামান রতন, ফেনীতে বারবার বন্যা: টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ফেনীর শহীদ মিনারে মানববন্ধন ফেনীর মানুষ ক্ষুধার্ত নয় ফেনীর মানুষ ত্রান চাই না চাই টেকসই বাঁধ- নির্মাণ মলদ্বারে করে পাচার করতে যাওয়ার সময় ইয়া*বাসহ টেকনাফের দুই পাচা*রকারী আ*টক । জুলাই শহীদ স্মরনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্টিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে খাল পরিষ্কার কাজে উদ্বোধন : উপকৃত হবে ১৬ ইউনিয়ন এক পৌরসভার কয়েক লক্ষ মানুষ। নদীর ভাঙন সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন বিএনপির নেতা লুৎফুর রহমান কাজল চট্টগ্রাম বায়েজিদে নিজ স্ত্রীকে হ*ত্যা করে লা*শ ১১ টুকরো করে গুম চেষ্টা , গ্ৰে*প্তার স্বামী সুমন আগামীকাল বাঁশখালীতে আসছেন পীর সাহেব চরমোনাই

ফেনী ১৮০ সরকারী প্রথমিকে শিক্ষর্থী খরা।

দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

ফেনী ১৮০ সরকারী প্রথমিকে শিক্ষর্থী খরা।

মোহাম্মদ হানিফ ফেনী সদর প্রতিনিধি।

ফেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর সংকট দেখা দিয়েছে। নানা উদ্যেগে নিলেও বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির হার ভাডে পারেনি।শিক্ষকরা বলছেন,এর প্রধান কারণ মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেনে অভিভাবকদের আগ্রহই এর প্রধান কারণ।তবে অভিভাবকদের দাবী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে নূরানী মাদরাসা গুলোতে পডালেখার মানের গণগত অনেক ভালো হওয়ায় বেশীর ভাগ অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি না করিয়ে নুরানী মাদরাসায় ভর্তি করায়।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ৯ এপ্রিলের আপডেটকৃত তথ্য বলছে ফেনী সদর উপজেলায় ৭৪ হাজার ৪৮১জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবে, ফেনী সদর উপজেলায় রয়েছে ২৩হাজার ৩৮৪ জন,সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়,অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্হিতি অপ্রতুল।ফেনী শহরের রামপুর বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন,আমার মেয়েকে আমি শাহীন

একাডেমিতে দিয়েছি,সেখানে লেখাপডা ভালো হয়।পাশেই রামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থাকলে ও সেখানে কেন দেননি – জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্হা নেই।শিক্ষকরা মনোযোগ দিয়ে পড়ান না।প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মহি উদদীন খন্দকার বলেন, অনেক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি কিন্ডারগার্টেন ও মাদরাসা থাকা,ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক পাঠ্যবই ও ধর্মীয় শিক্ষক না থাকার কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তিনি আর ও বলেন যত্রতত্র কিন্ডারগার্টেন, নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের তুলনায় সরকারি প্রাথমিকে ছাত্র ছাত্রী হার কম।আর এ সব প্রতিষ্টানে সরকারী কোন নজর রাখতে পারেনা বা কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হওয়ায় অনেক সময় শ্রেনী কক্ষে পাঠদানে শিক্ষকদের অনীহা তৈরী হয়,যার প্রভাব পডে শিক্ষার্থীদের উপর।সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, সচছল ও বিত্তবান পরিবারের সন্তানকে কিন্ডারগার্টেন অথবা নুরানি মাদ্রাসায় ভর্ত করায়।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফিরোজ আহমেদ বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু হয় অনেক মসজিদ বৃক্তিক মক্তব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তনকে মাদরাসা মুখি করে তুলছে।তথ্য বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন;জেলা র তথ্য বইয়ের চাহিদা তৈরির জন্য করা হয়েছে,উপজেলা থেকে ভর্তির পুর্ণঙ্গ তথ্য এখনো সংগ্রহ করা হয়নি।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি ফাতেমা সুলতানা বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ চিত্র হতাশাজনক।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করা হবে।বেশীর ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর হার ৫০ জনের নিচে হলে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে একত্রীভুত করার নীতি ও রয়েছে।তবে উন্নত জাতি গড়তে প্রাথমিক শিক্ষার মনোন্নয়নের মাধ্যমে বিদ্যগুলোতে শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বাডানোর বিকল্প নেই।শিশুদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তী করণে উপবৃতি,বিনামুল্যে বই বিতরন,মিড- ডে মিল,দৃষ্টি নন্দন অবকাঠামো সংস্কারের মতো বাস্তবায়ন হয়েছে এবং এখানেও তা চলছে।এতকিছুর পর ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নিয়ে অভিভাবকদের অস্হা ফিরছেনা। ফলে শিক্ষার্থী সংকট ক্রমেই প্রকট হচ্ছে।।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট