মোজাম্মেল হক কক্সবাজার প্রতিনিধি:
সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে। চট্টগ্রামগামী মহাসড়ক থেকে ৭ হাজার ইয়াবাসহ রামু ও উখিয়ার তিন যুবককে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর ৬টায় চুনতি ইউনিয়নের লিয়াকত অটোগ্যাস অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের সামনে তল্লাশিচৌকিতে দুইটি মোটরসাইকেল থামিয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃতরা হলেন—
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর এলাকার মৃত নুরুল হকের পুত্র মো: রাশেদ (৩০),
রাজারকুল সিকদার পাড়ার মো: ইয়াছিন আরাফাত (৩০),
এবং উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন (২৮)।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান,
“গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত টহলের সময় দুইটি মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় বাইকের এয়ার ফিল্টার থেকে ৭ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে।”
‘সাংবাদিক’ পরিচয়ের আড়ালে মাদক সাম্রাজ্য
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটক রাশেদ ও ইয়াছিন আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে একটি শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট পরিচালনা করছিল। ইয়াছিন আরাফাত ‘অগ্নিশিখা’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সদর উপজেলা প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে নিজেকে পরিচিত করতেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাসিক মাসোহারা দিয়ে নানা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ বলছে,
“সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাকে ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা চালানো ন্যক্কারজনক। প্রকৃত সাংবাদিকদের জন্য এটি লজ্জার বিষয়। প্রশাসনকে আরও কঠোরভাবে এই ধরনের ভুয়া সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
পাঠকের মন্তব্য:
সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে—এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে শুধু মামলা নয়, তাদের দেওয়া ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ের তদন্ত করাও জরুরি। প্রয়োজনে প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকেও এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।