মেহেদী হাসান খোকা,ব্যুরো প্রধান বরিশাল।
এই সেই শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক চোরা কারবারী ভূমিদস্যু কবির হাওলাদার ওরফে (ডাকাত কবির) বন্দর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। কবির গ্রেফতার হওয়াতে এলাকার মানুষের ভিতরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি একদারে চাঁদপুরা দুই নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সেক্রেটারি থাকা কালীন অবস্থায় বহু অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। নিজ আত্মীয়দের ঘরবাড়ী লুট ও অন্যর জমি দখল কারা তার নেশা ও পেষা ছিলো। নাম না বলা শর্তে তার এক আত্মীয় বলেন তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের গডফাদার মূর্তিমান আতঙ্ক তার হুকুম ছাড়া এই অঞ্চলের একজন মানুষও চলাফেরা করতে পারত না এমনকি গাছের একটি পাতাও নড়তো না। তিনি এতটাই দুর্ধর্ষ ছিলেন তার ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতেও সাহস পাইতো না তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই সেই পরিবারে নেমে আসতো ঘোর আমাবস্যা। কবির হাওলাদার দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলে রাতে তার ছিল একটি সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত চক্র তিনি এই লেবাসেই চলতে পছন্দ করতেন।কদিন আগেও তিনি তার সৎ ভাই মৃত শাহ্ আলম হাওলাদারের বউয়ের গলাথেকে তার সঙ্গবদ্ধ লোকজন নিয়ে চেইন ছিনিয়ে নেয়। তার ভিডিও এখন প্রভাতী বাংলাদেশ পত্রিকার কাছে জমা আছে আর ছিনিয়ে নেয়ে স্বর্ণের চেন যার বাজার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা,তার কদিন পরে সৎ ভাই মানে মৃত শাহ আলমের ছেলের উপর হামলা ও তাকে মারধর করে ছিনিয়ে নেয় তার কাছ থাকা তার কর্মে লাগা দুই লক্ষ টাকা কিন্তু তারা কিছুই বলতে পারেনি এতদীন আওয়ামী ক্ষমতায় থাকার কারণে ও তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটার তাই তার ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। এই শাহ আলমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার সম্পত্তি জোর পূর্বক স্ট্যাম্পএ সই করিয়ে সবটুকু তার করে নেয়।এই ব্যাপারে কাউকে জানালে তার ছেলেদেরকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়ে থাকেন এই ডাকাত কবির হাওলাদার,তার নামে বিভিন্ন সময় তিনটি মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হলে ও তার ডাকাতির সাথে জরিত সহযোগীদের এখানেও গ্রেপ্তার হয়নি। তাই কবির হাওলাদার গ্রেপ্তার হলে এলাকাবাসী উপরে উপরে খুশি হলে ও এলাকাবাসীর ভিতরে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছেন।তাই এলাকাবাসীর দাবি কবির হাওলাদারের মত তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সংবাদ কর্মিদের কাছে আর কবির হাওলাদার এর সহযোগী ছিলেন
কবিরের ভাই খোকন হাওলাদার, তাদের মেয়ে জামাই রাসেল, কানাই আসাদুজ্জামান,সিরাজুল ইসলাম, এই বিষয় এই ভুক্তভোগী পরিবারের এবং এলাকাবাসী একটাই দাবি সকল অপরাধীকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়।