হাফিজুর রহমান, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক মসজিদ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৩টি ব্যাবসায়ী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন বাঘাইছড়ি । রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় (২২ মে) ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জনাব শিরিন আক্তার।
আরো আরো উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব হুমায়ুন কবির।উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপি’র সভাপতি জনাব নিজাম উদ্দিন বাবু।
উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব মোঃ ওমর আলী। ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
ঘটনার পর পরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে জরুরি সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ জন দোকান মালিককে ২ বান করে টিন, ২৮ জন পরিবারপ্রতি ৭,৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ এবং প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
সহায়তা বিতরণকালে ইউএনও শিরিন আক্তার বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের দুঃখ আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করছি। সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হলে আরও সহযোগিতা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সব সময় প্রস্তুত। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।”
৩দিন আগে মুসলিম ব্লক মসজিদ মার্কেটের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানগুলোতে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে অন্তত ৫০টির বেশি দোকান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পুড়ে গেছে। এবং ২.৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত হস্তক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব হলেও অনেক ব্যবসায়ী তাদের জীবনের পুঁজি হারিয়েছেন। আগুনের কারণ এখনো স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের এই মানবিক সহায়তা স্থানীয় জনগণের মাঝে স্বস্তি ও আশার আলো ছড়িয়েছে।