মোহাম্মদ হানিফ ফেনী সদর প্রতিনিধি:
ফেনী সদর উপজেলা লেমুয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শংকর শীলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা,সন্তাসী কর্মকান্ড, অবৈধ অস্ত্র ও ককটেল,মজুদ,সরকারী সম্পত্তি আত্নসাত এবং ছোট ভাইকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্হানীয় জনগণের দাবী শংকর শীল সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বি এন পি,জামাতপন্থী শতাধিক নেতাকর্মিকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আসছেন। ভোটের সময় বহিরাগত গুন্ডা এনে ভোট কেন্দ্র দখল,বিরোধীদের বাডিতে হামলা, ভয়ভীতি,অগ্নি সংযোগ ছিল তার নিয়মিত কৌশল। আভিযোগ রয়েছে,আওয়ামী লীগ নেতা নাসিমের অবৈধ অস্ত্র ও ককটেল এখন শংকর শীলের হেফাজতে রয়েছে, যা সে গোপনে সংরক্ষণ করে রেখেছে।স্হানীয় জনগণ আশন্কা করছেন,এসব অস্ত্র যে কোন সময় সহিংস কাজে ব্যবহ্নত হতে পারে।তিনি চাঁদপুর – লক্ষী গোবিন্দ সেবাশ্রমের ( যেটা সবাই বৈরাগী বাড়ি বলে)প্রায় ৪০০ শতক সরকারী জমির মাটি ও গাছপালা বিক্রি করে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন বলে জানা যায়।এছাড়া, প্রভাব খাটিয়ে নিজের ছোট ভাই দীপন্কর শীলকে ফেনী পৌরসবায় কম্পিউটার অপারেটর চাকরি পাইয়ে দেন,যা এখন ও বহাল রয়েছে।আনেকে মনে করেন, যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সুশেনের আত্নীয়তা এই নিয়োগ সহায়ক ছিল। ২০১৩- ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অস্হিরতা ও ২০২৪ সালের ৪/৫ আগষ্টে ছাত্র জনতার ওপর হামলার সময়েও তার সক্রিয় উপস্থিতি তথ্য রয়েছে।বর্তমানে তিনি আত্নগোপনে থাকলে ও মাঝে মাঝে হায়দার ক্লিনিকের একটি ফার্মেসিতে দেখা যায়।স্হানীয় জনগণ শংকর শীলের সন্তাসী কর্মকান্ড,অস্ত্র ও ককটেল মজুদ,সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং অবৈধ ভাবে প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবী করছেন