হোসাইন হাওলাদার, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাও এলাকার আল আমিন বাজারে মজিবর টাওয়ার মালিকদের বিরুদ্ধে ক্রয়কৃত দোকানঘর বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মজিবর রহমান জীবদ্দশায় আল-আমিন বাজারস্থিত চৌরাস্তার মোড়ে মজিবর টাওয়ার নামে প্রধান সড়ক ঘেসে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে। যাহার নিচ তলা এবং দোতলায় মার্কেট/বানিজ্যিক ব্যবস্থায় নির্মীত হয়েছে। সেইমতে ২০২২/২০২৩ সালে স্থানীয় অনেকেই কাছেই আন-রেজিষ্টারী নন-জুটিশিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে লিখিত বিক্রয় নামা চুক্তিবদ্দ হয়ে দোকান ঘর বিক্রি করে। মজিবর রহমানের মৃত্যু পরে ওয়ারিশ সূত্রে মজিবরের স্ত্রী, পুত্র ও পুত্র বধু ওই জমি ও মার্কের মালিক বনে। এদিকে মজিবর যাহাদের নিকট নগর টাকা নিয়ে দোকান ঘর নন জুটিশিয়ান ৩(তিন)শত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে বায়না নামা দলিল করে দোকান ঘর বিক্রি করে বর্তমানে তাদের ক্রয়কৃত দেকান বুঝিয়ে দিতে অস্বীকার করছে বলে জানান।
ভূক্তাভোগী সজিব সাহা ও ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মরহুম মুজিবরে মালিকানা দাবিকৃত সম্পত্তি স্ত্রী মোসাঃ জীবন আক্তার(৫০), ছেলে মনির হোসেন(৩৫) ছেলের বউ মোসাঃ রিয়া আক্তার(৩০), প্রায়ত উত্তরসূরী হয়ে মরণত্তোর রেখে যাওয়া মজিবর মার্কেট (নিচ তলা) আল-আমিন বাজার ১৬০ স্কয়ার ফিট দোকান, মং স্কয়ার ফিট ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা মূল্য হারে ক্রয় করি। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে আমার থেকে ৩০০/- টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখিত দিয়ে ২৮,০০,০০০/- টাকা (আটাশ লক্ষ) নেয়। এই বিষয়ে ১নং, ২নং ও ৩নং বিবাদী মরহুম মজিবর রহমান এর ওয়ারিশ সূত্রে উল্লেখিত সম্পত্তির বনিয়াদী মালিক হইয়া আমার ক্রয়কৃত দোকান ঘর জুরপূর্ব অবৈধভাবে দখল করিয়া রেখেছে। যাহা এলাকার গন্যমান্য এবং বাজার কমিটির সভাপতি/সাধারণ সমস্পাদক সহ একাধীকবার মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ ছাড়াও উক্ত বিষয়ে স্থানীয় র্যাব ক্যাম্প ও অফিসার্স ইনসার্চ শ্রীনগর এর বরাবর লিখিত অভিয়োগ দায়ের করি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েও অদ্যবদী আমরা আমাদের দোকান ঘর বুঝিয়া পাইনি। আমরা আমাদের দোকার ঘর বুঝিয়ে দিতে বলিলে বিবাদীদ্বয় নারী নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখায়। সর্ব শেষ গত ইং ২০/০৪/২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমার দোকান বুঝিযা নিতে গেলে বিবাদীগন লোকজন নিয়া আমাদের কে বাধা দেয়। গালি-গালাজ করে, আমাদের দোকান বুঝাইয়া দিবে না, টাকাও ফেরত দিবেনা বলে হুমকি দেয়। বিবাদীরা দোকান বিক্রয় করার সময় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে টাকা নিয়া, বর্তমানে প্রতারণা করে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে।
এ বিষয়ে আল-আমিন বাজার বনিক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, মজিবর জিবিত থাকাকালীন সময়ে এই দোকানঘর সজিব সাহা ও ফারুক হোসেনর নিকট বিক্রশ করেছে এটা শতভাগ সত্য কথা। এই সত্য কতা আমরা যেমন জানি মজিবরের স্ত্রী জীবন আক্তার, ছেলে মনির ও ছেলের বউ রিয়া আক্তারও দলিলে স্বাক্ষী হিসেবে সহি স্বাক্ষর করে দেয়। বর্তমানে ভুক্তাভোগীরা দোকান বুঝিয়া না পাওয়া আমাদের কাছে জানালে আমরা জীবন আক্তার, মনির হোসেন ও রিয়াকে অনেক বার বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়। ফলে তাদেরকে আইনের আশ্রয়নিতে পরার্মশ দেয়।
এ বিষয়ে জীবন আক্তারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমার সম্পদ আমি দিবনা আপনারা যা পারেন করেন।