মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খোকন প্রতিনিধি :
চকরিয়া উপজেলার প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসাটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে । বিশেষ করে অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ড. মুহাম্মদ এনামুল হক অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পরে আন্তরিকতার কারণে পড়া-লেখার মানোন্নয়ন হচ্ছে। একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যক্ষ পেয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষকরা অত্যন্ত আনন্দিত ।
স্থানীয় বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক ও একাধিক অভিভাবকের সাথে আলাপকালে জানাযায়,
ড. মুহাম্মদ এনামুল হক যোগদানের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে খুবই প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন নলবিলা বনবিট এলাকায় মাদ্রাসার (৫৪ শতক) প্রায় কোটি টাকা দামের বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার করেন । অনিয়মিত শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদানে বাধ্য করেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য গাইডওয়াল নির্মাণসহ বেশকিছু উন্নয়ন চোখে পড়ার মত ।
তবে এসব উন্নয়ন কাজের কারণে অধ্যক্ষের কিছু সমালোচক ও চরম শত্রু তৈরি হয়েছে । বিশেষ করে যাদের কবল থেকে মাদ্রাসার কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে , যারা ইতিপূর্বে পাঠদানে অনিয়মিত ছিলেন। তিনি তাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন । স্থানীয় শ্বার্থানেষী মহল গোলাম মোস্তফা কাইছার ও ছাবের আহমদগং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়মিত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন । তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার কারণে অধ্যক্ষ জমি উদ্ধারের পরে বিগত ২৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে তাদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১১/০৮/২০২৪ ইং তারিখে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ উক্ত গোলাম মোস্তফা কাইছার অধ্যক্ষের পার্শ্ববর্তী চেয়ারে লাথি মারেন ।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, মাদ্রাসার আসবাবপত্র ভাংচুর , মাদ্রাসার অফিস সহকারী মাওলানা আব্দুল হাকিমকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ, তার টেবিল উল্টিয়ে দেয়া, মাদ্রাসার ফাইলপত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তছনছ করা, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, ক্লাস চলাকালীন সময়ে বহিরাগত লোক ও কিছু শিক্ষকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা, মাদ্রাসার গাইডওয়াল নির্মাণে বাঁধা প্রদান , গভর্নিং বড়ির নির্বাচন নিয়ে তফসিল বানচাল করে নানা বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে উক্ত কুচক্রী মহল । তাছাড়া বিগত ১ জানুয়ারী-২৫ ইংরেজি থেকে ২৮ এপ্রিল-২৫ ইংরেজি পর্যন্ত একটি ক্লাসও গ্রহণ না করায় এবতেদায়ী জুনিয়র মৌলভি ছাবের আহমেদ ফারুকীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ প্রদান করেন অধ্যক্ষ । এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম মোস্তফা কাইছারের সাথে যোগসাজশ করে অধ্যক্ষ বিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হন ।
উপরোক্ত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন চকরিয়া আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ এনামুল হক । উপরোক্ত কুচক্রী মহলের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র হতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তিনি সচেতন এলাকাবাসী, প্রাক্তন ছাত্র , শিক্ষক ও শুভানুধ্যায়ীদের একান্ত সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।