সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা দাবি করেন
শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় পুকুর খননকারী মোঃ শহীদুল ইসলামের নিকট চাঁদা দাবী করায় ৫ চাঁদাবাজ পুলিশ হেফাযতে থানায় । শহীদুল ইসলাম ও ছোয়াদ আলী জানান বিকেলে ৬/ টি মটর সাইকেলে ১৮/২০ জন নইপাড়ায় এসে চাঁদা না দিলে পুকুর খনন করা চলবে না বলে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে এবং মাটি কাটার বেকু ভাঙচুর করে। তারা ঔখানে আগুন জ্বালিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। তখন ছোয়াদ আলীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ ৫ জনকে আটকে রেখে পিটুনি দিতে থাকে। কেউ কেউ ভিডিও করে লাইফ দেখাতে থাকেন।
আটককৃতরা হলেন সলঙ্গা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন,সদস্য রোকনুজ্জামান,সলঙ্গা থানা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব আব্দুস সোবহান, রাসেল ও আশরাফ আলী।
ঘটনা সম্পর্কে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশকিছু বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষকে ওই নেতাদের আটকে রেখে মারধর করতে দেখা গেছে। বাকি বেশ কয়েক জন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । উত্তেজিত লোকজন তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং গাড়ীগুলো শহীদুল ইসলামের বাড়ীতে আটকে রাখে।
ছোয়াদ আলী আরো জানান তিনি নিজে বাদী হয়ে রাতেই ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে দুটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো ১।মোঃ রোকনুজ্জামান পিতা সাইদুর রহমান ২।মোঃ রাসেল পিতা আব্দুল মান্নান উভয়ের গ্রাম আমসাড়া ৩।আব্দুস সোবহান পিতা সোরহাব আলী গ্রাম বেতুয়া ৪।আব্দুল মোমিন পিতা জাহাঙ্গীর আলম গ্রাম ধুবিল ৫। আব্দুল হাকিম পিতা মোঃ শুকুর আলী গ্রাম মালতি নগর ৬। আশরাফ আলী পিতা আব্দুল মজিদ গ্রাম গুঘাট ৭। মামুন সরকার পিতা শাহ আলম ৮। মোঃ আলমগীর পিতা হুদা উভয়ের গ্রাম মালতি নগর। একটি মামলা দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করায় অন্য মামলাটি বেকু ভাঙচুরে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি পুরণ দাবী করে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, “আমি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছি। চাঁদা দাবি ও মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। খবর নিয়ে বলতে পারব।”
তবে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার( ১৬ মে)রাত ৯টার দিকে বলেন, “পুকুর খনন করা সরকারিভাবে অবৈধ। ওই এলাকায় পুকুর খননের মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। তাই দলের নেতাকর্মীরা খনন কাজ বন্ধ করতে সেখানে গিয়েছিল, চাঁদাবাজি করতে যায়নি।”
এ দিকে ধুবিল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে বলেন, পুরাতন পুকুরের সংস্কার কাজ করতে বেকু ব্যবহার করছি, রাস্তা নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নতুন কোন পুকুর খনন করা হচ্ছিল না যে অবৈধ হবে। তিনি জানান এ সকল দুষ্ট চক্র ইউনিয়নসহ সর্বত্রই চাঁদাবাজি করে থাকে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন ছোয়াদ আলী বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হেফাজতের ব্যক্তিদের গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্ররণ করা হয়েছে।