এম, এ, ফারুকী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলী (ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর) সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে রিয়াদ হোসেন (৩২) নামে এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সীমান্ত এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ হোসেন জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপির সিপাহী ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। তিনি আব্দুল লতিফের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ওই রাতে আন্তর্জাতিক সীমানা মেইন পিলার ১০৫৬-এর শিমুলতলী সীমান্তে বিজিবি ও আনসার সদস্যদের একটি টহল দল দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে ৬ জন সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিজিবির হাবিলদার মো. জসিম (৫২), সিপাহী নাদিম (২৮), সিপাহী শাহীন (২৮) এবং আনসার সদস্য ফেরদৌস হাসান (৩৬)। গুরুতর আহত দুই বিজিবি সদস্যকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি আহতরা রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নবিউল ইসলাম বলেন, “বজ্রপাতের শিকার হয়ে এক বিজিবি সদস্যকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বাকি আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।”
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে দায়িত্ব পালনকালে বজ্রপাতে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু ও একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন ঠেকাতে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। টহলে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় আনসার সদস্যরাও যুক্ত রয়েছেন।