বিশেষ প্রতিবেদন
কলেজ জীবনটা, জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নানা সময় নানা ভ্রান্ত বাক্য সাজিয়ে আমরা ওইদিকে জীবনকে নৌঙর করাই। কখনোভা জীবনের ভ্রান্ত শিকলে সকলে আটকে যায়। জীবনের পাঠ বোঝা বড়ই কঠিন।এই কঠিনকে সহজ করে তুলে, জীবনের সামনের দিকে আগানো ভালো। তবে তা কল্যানকর নয়।
হল হলো ছাত্রদের আবাসস্থল, রাজনীতি করার জায়গা।জীবনের ছোট বড় সিদ্ধান্ত নিতে আমরা, ভুল কিংবা উত্তীর্ণ হই নান ভাবে।জীবনকে পড়তে হয়, জীবনের পাঠ জানতে হয়। নিজের জীবনকে প্রতিকূলতার ডিঙ্গি নৌকায় ভাসি য়ে নিতে হলের বিকল্প নেই। আজ ঢাকা শহরে কলেজ ডিঙ্গি নৌকায় নিজেকে ভাসানোর ইতিবৃত্ত জানব।নিজেকে পাঠ করব,নিজের যোগ্যতা কিংবা অযোগতার বিচারে।
আজ ক্লাস শেষ হলো নির্ধারিত টাইমের পূর্বেই।বন্ধু মহলের সাথে গা ভাসিয়ে চলে আসলাম পুকুড় পাড়ে। পুকুড় পাড়ের মনজুড়ানো বাতাসে আসন খুঁজছিলাম। আসনের অপ্রতুলতার কারনে আসন পেতে বেগ পেতে হলো।
তবে,আসন পেলাম তবে তা হলের এক কোনায়। পুকুরের মৃদু মৃদু বাতাস সেখানে পৌঁছাই, এইভেবে তাই তিন বন্ধু মিলে সেখানে আসন গড়লাম। হলটি ছিলো সম্ভবত নর্থ হল,হলের পরিবেশ চাক-চিক্য না হলেও মন্দ নয়।হলের দেয়ালের রঙ যেন ঝাপসা হয়ে আছে,তা দেখার এখতিয়ার যেন কারো নেই। হলের দরজা জানলা সব ভাঙ্গা, যেন দেখার কেউ নেই। থাকবে না কেন,তা আমার কথা, আমাদের বন্ধু মহলের কথা। আমাদের শুকনো কথাই তো আর চিড়ে ভিজবে না। যারা দেখার কথা তারা দেখুন না, আমাদের কি। মনের সেই ইতিবাচক সাড়াই মনকে ভিন্ন দিকে মনোনিবেশ করলাম।
আমরা যেহেতু তিন জন ছিলাম তাই আমাদের কথার ঝুলিওতো অনেক, তাই আমরা একে একে গল্পে মশগুল হলাম।আমাদের গল্পের বিষয় বস্তুুও ছিলো দুর্নীতি নিয়ে।
আমাদের এক বন্ধু, সম্রাট। তাকে যে কেউ সম্রাটের সাথে গুলিয়ে ফেলতে পারেন।যদিও পরে জানতে পারি সম্রাট হওয়ার যোগ্যতা তার মধ্যেও আছে,তবে তা ভিন্ন কথা।তার ভাষ্য মতে দোকানীর সিন্ডিকেটের কথা উঠালো। নিজেকে আড় সামলাতে না পেড়ে তার কথায় যেন ডুব দিলাম।
সে মোবাইল বের করল, আমি বল্লাম মোবাইল কেন? সে বল্ল দেখ না?
আমি তখন মোবাইলের ভিতর নিমজ্জিত হয়ে গেলাম।বিডিও টা বেশি লম্বা ছিলোনা, তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই সমাপ্ত হলো।নিজেকে আড় বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না, বির্তকে জড়িয়ে পড়লাম সম্রাটের সাথে।তার সাথে আমার বির্তকের ফলাফল ছিল ইতিবাচক। আমদের সেই তৃতীয় বন্ধুটিও আমাদের বিতর্কে যোগ দেয়।বির্তকটি কিছুক্ষণের মধ্যে, আমরা সমাপ্তি টানলাম।বিতর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পেরে , সবাই স্বস্তি বোধ করলাম।আমরা তখন নর্থ হল থেকে হল পাড়ার মাঠের দিকে আসলাম। যেহে হল পাড়ার মাঠে অনের বন্ধু ছিলো,তাই আমরা জমিয়ে আড্ডা দিলাম।আমাদের হল পাড়ার মাঠের বির্তক ছিলো একই বিষয় নিয়ে তা হলো” দুর্নীতি”।যদিও তা ছিলো সমন্বয়দের নিয়ে করা দুনীর্তিকে নিয়েই।
আমরা মধ্যান্ন ভুজ করার জন্য, নর্থ হলের ক্যান্টিনে আসলাম। এখানে ছিলো ভিন্ন রীতি।কারন, সেখানে আজ কোনো সাধারন রান্না হয় নি,হয়েছে ভিআইপি রান্না। দাম তুলনা মূলক কিছুটা বেশি।সাধারন মিল চল্লিশ টাকা হলেও। আজকের মিল ছিল সত্তর টাকা। যেহেতু আজ ছিলো বিশেষ খাবার,তাই দাম বেশি।হলের কর্তৃপক্ষের এমন যুক্তিটাও মেনে নিলাম।খাবারটি ছিলো বেশ, তবে অর্থনৌতিক ভাবে আমরা ঠকে গেলাম।