এম. এ. ফারুকী, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা কারাগারে ছয় মাস ধরে আটক কুড়িগ্রামের সাত মৎস্যজীবীর মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে মানবিক ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে ‘চিলমারী উপজেলার তরুণ প্রজন্ম’। শুক্রবার (৯ মে) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই দাবি জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ৪ নভেম্বর মাছ ধরতে গিয়ে পথ হারিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সীমানা অতিক্রম করেন চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সাতজন দরিদ্র জেলে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের আটক করে মেঘালয়ের কালাইরচর থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে তাঁদের তুরা কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও তাঁরা জামিন পেয়েছেন, তবু এখনো কারাগারেই আটক রয়েছেন।
আটকদের পরিচয় হলো— রাসেল মিয়া (৩৫), বিপ্লব মিয়া (৪৫), মীর জাহান আলী (৪৫), বকুল মিয়া (৩২), আমির আলী (৩৫), আঙ্গুর হোসেন (২০) ও চাঁন মিয়া (৬০)। তাঁদের প্রত্যেকেই পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ফলে দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে পরিবারগুলো চরম মানবিক সংকটে পড়েছে। কেউ কেউ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন, শিশুদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ভারতের দুজন আইনজীবীর সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু একাধিক প্রতিশ্রুতি ও অর্থ গ্রহণের পরও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবারগুলো বর্তমানে সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি মানবিক আবেদন জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, “আজ আমরা দাঁড়িয়েছি নিঃশব্দ বন্দিদের পক্ষে, যারা কথা বলতে পারছে না, কিন্তু তাদের মুক্তির আর্তনাদ আমাদের হৃদয় কাঁপিয়ে দেয়।”