বিশেষ প্রতিবেদন,
১। র্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামীসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ মে ২০২৫ তারিখ ০১৪৫ ঘটিকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর অভিযানিক দল জয়পুরহাট সদর থানাধীন ছোট হেলকুন্ডা এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামি মোঃ আমানত হোসেন (১৯), পিতা-মোঃ আল-আমিন, সাং-কড়ই উত্তরপাড়া, থানা ও জেলা-জয়পুরহাটকে গ্রেফতার করে।
৩। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বর্ণিত আসামী জয়পুরহাট সদর থানাধীন ছোট হেলকুন্ডা এলাকায় অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ ভিকটিমের নিজ বসতবাড়িতে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় ঘটনাটি পুরো জয়পুরহাট জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মাতা মোছাঃ রাহেলা খাতুন বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় এজাহার দায়ের করলে, জয়পুরহাট সদর থানার মামলা নং-০৪ তারিখ-০৩/০৩/২০২৫ ইং, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) রুজু হয়।
৪। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট এর আভিযানিক দল বর্ণিত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ আমানত হোসেন (১৯)কে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। অতঃপর র্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর সহায়তায় র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর আভিযানিক দল অদ্য ১১ মে ২০২৫ খ্রিঃ ০১৪৫ ঘটিকায় জয়পুরহাটের কোমরগ্রাম দিঘীরপাড় এলাকা থেকে এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ আমানত হোসেন (১৯)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামী কে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।