সোবেল মিয়া, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
গত ১৫/ ০৪/ ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় মাধবপুর থানাধীন, শিমুলঘর বাজার টু ছাতিয়াইন বাজারের মাঝামাঝি একপালপুর নামক স্থানে রাস্তার ঢালুতে ঝোপের ভিতর হতে একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে মাধবপুর থানা পুলিশ। উক্ত ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় ০১টি হত্যা মামলা রুজু করে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ ইলেক্টনিক ও সোস্যাল মিডিয়ায় মাধবপুরে অজ্ঞাতনামা যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার সংক্রান্তে সংবাদ প্রকাশিত হলে হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং অফিসার ইনচার্জ এর তত্বাবধানে মামলাটি তদন্তকালে সোস্যাল মিডিয়াসহ বাংলাদেশের সকল থানায় অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের ছবিসহ সন্ধান চেয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থান হতে বিভিন্ন মাধ্যমে আসা ছবিসহ প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন থানার নিখোঁজ জিডি পর্যালোচনাসহ তদন্ত কৌশল অবলম্বন করে ভিকটিমকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে সনাক্তকৃত ভিকটিমকে তদন্তের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এবং সনাক্তকৃত ভিকটিমের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে ঘটনাস্থলের পাওয়া মৃত দেহের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা পূর্বক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে মাধবপুর থানা এলাকাসহ আশপাশের থানা এলাকায় ছায়া তদন্ত করেন । গত ০৮/০৫/২০২৫খ্রিঃ তারিখ ২০.৪৫ ঘটিকায় মাধবপুর থানাধীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নোয়াপাড়া বাজারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্লুলেস হত্যা মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আসামী মোঃ আবুল কালাম, খোকন (২১), পিতা মোঃ সুন্দর আলী, সাং-বেঙ্গাউতা, থানা-নাসিরনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
বর্তমান সাং-নোয়াপাড়া (নোয়াপাড়া সুপার মার্কেট এর পিছনে বাইজিদের বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ আবুল কালাম, খোকনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে সে বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে, স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।