মোহাম্মদ মহি উদ্দিনঃ স্টাফ রিপোর্টার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে ইলিশ ধরার অপরাধে মহেশখালীতে ৬ ফিশিং বোট মাছসহ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, টেকসই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় নৌ-যান কর্তৃক সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সুরমা’ গত বুধবার (৭ মে ) নিয়মিত টহল চলাকালীন গভীর রাতে বঙ্গোপসাগর কক্সবাজার (ভিজিডি-৩০) ছয়টি ফিশিং বোট আটক করে।
আটক ট্রলারগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে ১০৩ জন জেলেসহ ১৩ হাজার ৫০০ পিস ইলিশ, অন্যান্য প্রজাতির মাছ ৮৫ কেজি এবং ৪.৫৫ লক্ষ মিটার জাল জব্দ করা হয়।এসবের আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি ১৬ লাখ টাকার অধিক।
আটক হওয়া জেলেরা ভোলা এবং হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।আটককৃত ইলিশ ও জালসহ জেলেদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত মাছ মহেশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরীব প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং আটককৃত বোটগুলোকে জরিমানা ও ১০৩ জন জেলেদের মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, জাটকা নিধন প্রতিরোধ এবং সরকার প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন মোট ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ অপারেশন-২০২৫ বাস্তবায়নে নৌবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
চলমান এ অভিযানে নৌবাহিনী অদ্যাবধি প্রায় ১৫৭ কোটি, ৯৭ লাখ, ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, জাটকা ও মাছ ধরার সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে।সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের মৎস্য সম্পদ এবং জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।