হুমায়ুন কবির/নিজস্ব প্রতিবেদন:
ভালো কাজ ও অধিক বেতনের লোভ দেখিয়ে চার মাস পূর্বে মো. সাদেক মিয়া নামের এক যুবক কে সৌদি আরবে পাঠান আদম ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া। আর সৌদি আরবে গিয়ে প্রতারণার শিকার বিষয়টি বুঝতে পারেন সাদেক মিয়া। এদিকে অবৈধ হয়ে যাওয়াতে সৌদি পুলিশ দেশে পাঠিয়ে দেন সাদেক মিয়া কে।
দেশে এসে আদম ব্যবসায়ীর নিকট ক্ষতিপূরণ চেয়েও তা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সালিশ দরবারের ফয়সালা না পেয়ে নান্দাইল মডেল থানায় আদম ব্যবসায়ী সবুজ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করতে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে গেছেন।
নান্দাইল মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার কালিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র সৌদি ফেরত সবুজ মিয়া ভাল কাজ ও বেতনের কথা বলে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে একই গ্রামের মোন্তাজ আলীর পুত্র মো. সাদেক মিয়াকে সৌদি আরবে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গত বছরের ২রা অক্টোবর দেড় লাখ টাকা, ২০ নভেম্বর দুই লাখ ৫০ হাজার নগদে নিয়ে ২২ ডিসেম্বর সৌদি আরবে পাঠান। সৌদি গিয়ে ভাল কাজ ও বেতন না পেয়ে বিষয়টি নিজ পরিবার কে জানান। কেন জানালেন কথাটি সে জন্য সবুজ মিয়া সৌদি আরবে থাকা তার পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।
এদিকে সাদেক মিয়ার আকামা না থাকায় সৌদি পুলিশ তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। দেশে এসে সালিশ দরবার করলে টাকা ফেরত দিবে বলে জানালেও এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত দেননি বরং গত ২৭ মার্চ সবুজ মিয়ার বাড়িতে টাকার জন্য গেলে তার পরিবারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিমন্দ সহ হুমকি দেন।
ভোক্তভোগী সাদেক মিয়া বলেন- আমি সরল বিশ্বাসে চার লাখ টাকা দিয়েছি। তারা আমাে সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সালিশ দরবার করলেও টাকা দিতে চাচ্ছেনা। আমি আমার টাকা ফেরত চাই।