মোঃ দেলোয়ার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক:

কাহালুতে বৈদ্যুতিক মিটার তোর চক্রের দুই সদস্য কে আটক করেছে কাহালু থানা পুলিশ। এলাকাবাসী জানায় গত দুই থেকে তিন বছর যাবত বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হচ্ছে আশেপাশে গ্রামগুলো যেমন শান্তা, বিজরুল, আতাইল, তারইল, চকদুলাহার, কল্যাপাড়া, ভালশুন ও লক্ষী মন্ডল দিনে রাতে পাহারা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বৈদ্যুতিক মিটার চুরি।

গত ৭-০৫-২০২৫ দুপুর ২ ঘটিকায় বগুড়া জেলা কাহালু উপজেলা জামগ্রাম ইউনিয়নে লক্ষ্মী মন্ডল গ্রামের মো:রুহুল আমিন দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুতের মাধ্যমে গভীর নলকূপ দিয়ে জমিতে পানি সেচ আসছিল। কিন্তু গতএক সপ্তাহ আগে তার বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে মোবাইল নাম্বার দেয়ালে লাগাইয়া চলে যায় এই নাম্বারে ফোন করলে তার মিটার পাওয়া যাবে। মিটার পাওয়ার জন্য রুহুল আমিন ফোন দিলে ১০০০০ টাকা দাবি করে। দর কষাকষি করে ৪০০০ টাকা বিকাশে পাঠায় দেয় । গভীর নলকূপ এর ঘরের পাশে জমিতে মিটার রাখার কথা বললেও টাকা দেওয়ার পরে ও মেলেনি তার বৈদ্যুতিক মিটার।

গত এক সপ্তাহ পর ওই স্থানে খোঁজ করতে দেখতে পারে চোর চক্র সদস্য কাহালু উপজেলা জামগ্রাম ইউনিয়নের দ্বাড়াই গ্রামের মোঃ খয়বর আলী এর পুত্র (১) মোঃ মিজানুর রহমান (২৫) । সন্দেহ হলে রুহুল আমিন গ্রামের লোকজনকে খবর দেয় মিজানুর কে ধরে গণধোলাই দিয়ে গ্রামের মধ্যে নিয়ে যায় এক পর্যায় সে স্বীকার করে চোর চক্রের আরেক অন্যতম সদস্য শাজাহানপুর উপজেলা চক দুলাহার গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র (২) মোঃ আইনুল (৫৫) তার সাথে জড়িত। গ্রামের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে আসে গণধোলাই দিলেও মিটার চুরি অস্বীকার করেন মোঃ আইনুল বিষয়টা জানাজানি হলে কাহালু থানার এস আই (নি:) মোহাম্মদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত জনতা আরো উত্তেজিত হতে থাকে চোরদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

আশেপাশের লোকজন এসে বেশি হওয়ায় দমন করতে না পারায় কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হান্নান কে অবহিত করে। ঘটনাস্থলে ওসি তার সঙ্গীও ফোর্স সহ উপস্থিত হন পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে কিছুক্ষণ বক্তব্য দেন ওসি আব্দুল হান্নান। ঘটনার শুনে ওসি আব্দুল হান্নান বলেন এলাকা ভালো থাকার জন্য এদেরকে উপযুক্ত আইনে ব্যবস্থা নিব আর যেন ভবিষ্যতে এরা চুরি করতে না পারে।

তিনি আরো ও বলেন এই চক্রে কেউ ফোন দিয়ে হুমকি দিলে সরাসরি আমাকে অবহিত করবেন আমি ওদেরকে উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা করব। পরে বৈদ্যুতিক মিটার চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে কাহালু থানায় নিয়ে আসে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।