শহিদুল ইসলাম খোকন, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি এলাকার ৭ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী গত ৫ মে রবিবার রাত ৯ টার সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথাকাটাকির একপর্যায়ে অভিমান করে বাড়ির পেছনে রাস্তার দিকে চলে যায়। ঐ রাস্তায় থাকা ৩ যুবক সাফায়েত (১৮), লামিম (১৮) ও রাব্বি (১৯) তাকে জোরপূর্বক ধরে কাছাকাছি ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত তারা মিলে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।
পরদিন ফজরের নামাজের সময় ভিকটিমকে বাড়ি থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে ফারুক নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ভিকটিমের চাচা কবির তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে
বিষয়টি পুলিশ জানলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে থানায় নিয়ে আসে এবং তার মৌখিক জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, ভিকটিমের পরিবার থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পরপরই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ভিকটিমকে থানায় নিয়ে আসি। তার জবানবন্দি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করি। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মতলব উত্তরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে সাফায়েত, লামিম ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।