মোঃ হাসান আলী, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:
আগামী ১০ মে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা মিলনায়তনে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকাল ৪টায় বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জনাব মোঃ আব্দুল সবুর। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাঙামাটি জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও রাঙামাটি পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জনাব মোঃ সিরাজুল মোস্তফা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জনাব মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক মামুন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঘাইছড়ি পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ ওমর ফারুক।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবদল নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক ও তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১০ মে'র সমাবেশ যে কোনো মূল্যে সফল করতে হবে। তারা অভিযোগ করেন, পতিত স্বৈরশাসকের চোখরাঙানি, দমন-পীড়ন এবং অমানবিক নির্যাতনের মধ্য দিয়েও যুবদল বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ঘোষণা না দেবে, ততদিন রাজপথেই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি স্থিতিশীল ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে হবে।
তারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতা ধরে রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে যুবদল রাজপথে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছে।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছরে তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, গুম-খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমনকি ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো দেশে ও বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
এক বক্তা অভিযোগ করে বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি বিভিন্নভাবে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন না দেয়। তারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন আর দিনের ভোট রাতে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই প্রতিটি নেতাকর্মীকে কর্মীবান্ধব হতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা জানান, গত ১৭ বছরে বিএনপি মামলা-হামলার শিকার হলেও কোনো ষড়যন্ত্র তাদের দমাতে পারেনি। এই দীর্ঘ আন্দোলনের ফল হিসেবে তারা গত ৫ আগস্টের ঘটনাকে উল্লেখ করেন এবং অভিযোগ করেন, একটি গোষ্ঠী স্বার্থান্বেষী মনোভাব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ভুল বোঝাচ্ছে যেন নির্বাচন না দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারে।
পরিশেষে, বক্তারা ১০ মে'র সমাবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সফল করার আহ্বান জানান।