শাহিন ফকির, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
০৫ মে সোমবার রাত ১১.০০ মিনিটে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলাধীন ধাওয়া ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের সুফি সাহেবের মাদ্রাসা সংলগ্ন খান বাড়িতে চায়ের দোকানদার মোঃ বাদল খান(৪৫) নিজ স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরে আগুন দিয়ে পালিয়েছেন।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, বাদলের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩২) ও শাশুড়ি বিলকিস বেগম বিলু (৫০)। অভিযুক্ত মো. বাদল খান উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত আজিজ খানের ছেলে। স্থানীয় ধাওয়া বাজারে তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদল খানের চতুর্থ স্ত্রী চম্পা বেগম। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান রয়েছে। গতকাল (৫ মে) রাতে স্ত্রী চম্পা ও শাশুড়িকে হত্যা করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বাদল। ঘটনার সময় চম্পার সন্তান মো. ইয়াছিন খান (১০) টের পেয়ে ঘর থেকে পালিয়ে পাশের বাড়িতে খবর দেয়। এরপর স্থানীয়রা এসে ঘরের আগুন নিভিয়ে ফেলে। এরপর স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান বাদল।
স্থানীয় নাসিমা বেগম বলেন, চম্পার ছেলে দৌড়ে আমাদের ঘরে এসে বলে খালা মা আর নানিরে মাইরা ফেলাইছে। শুইনা আমি দৌড়ে এসে দেখি চম্পার বুকের ওপর আগুন জ্বলতেছে। এক বালতি পানি ছিল কাছে তাই গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন নিভাইছি। আমাদের দেখে বাদল পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি।তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি।
উক্ত ঘটনার মূল রহস্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উদঘাটনের লক্ষ্যে পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের ০৬ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ৮.৩০ মিনিটের সময় সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ সময় তিনি এলাকার লোকজন ও ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলেন।তাৎক্ষনিক ভান্ডারিয়া থানা পুলিশকে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করার নির্দেশনা দেন এবং উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দ্রুত সময়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।