মোঃ নাজিম মিয়া, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় ব্রি ধান ১০৮ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আনন্দে ভাসছেন উপজেলার রামপুর ছাইয়াখালী হাওর এলাকার কৃষক সৈয়দ নাজমুল হাসান মিঠু।
তিনি জানান, কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বোরো মৌসুমে প্রথমবারের মতো এক একর জমিতে ব্রি ধান ১০৮ চাষ করেন তিনি। সময়মতো সেচ, আধুনিক চাষাবাদ, সঠিক পরিচর্যা এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এ ফলন সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল ৪টায় ছাইয়াখালী হাওরে অনুষ্ঠিত হয় আনুষ্ঠানিক ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস। এতে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা ড. হিরেন্দ্রনাথ বর্মন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায়, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোনিয়া আক্তার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তফা বিন আফজাল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অশ্বিনী কুমার সিংহ এবং কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম এ ওয়াহিদ রুলু।
ড. হিরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে ১১৫ জাতের ধান রয়েছে, তার মধ্যে ব্রি ধান ১০৮ একটি উন্নত জাত। এটি কম সময়ে বেশি ফলন দিয়ে থাকে। গুণগত মানও চমৎকার হওয়ায় কৃষকদের এ জাত চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় জানান, প্রাথমিকভাবে তিনজন কৃষককে ব্রি ধান ১০৮ জাতের বীজ প্রদান করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই ভালো ফলন পেয়েছেন। একর প্রতি প্রায় ৮০ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী মৌসুমে আরও বেশি কৃষক এই ধান চাষে আগ্রহী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কম খরচে, কম সময়ে ও উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় ব্রি ধান ১০৮ কৃষকদের মাঝে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।