বিশেষ প্রতিবেদক,কক্সবাজার:
মাদক যেন কোন ভাবেই আটকানো যাচ্ছে না, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো করে আচড়ে পড়তেছে, কক্সবাজার উপকূলে, প্রতিদিন প্রতি নিয়ত কোন না কোন
মাদকের চালান ও কারবারি আটক হচ্ছে তারপরও থেমে নেই এই অবৈধ ব্যবসা । টেকনাফে ৫ মে ২০২৫ ভোরে চালানো কোস্ট গার্ড ও র্যাবের যৌথ অভিযানে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৫০ লিটার দেশীয় মদ সহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করা হয় ।
সোমবার ৫ মে ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশিচত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ৫ মে ২০২৫ তারিখ সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টা কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও র্যাব-১৫ সিপিসি-১ এর সমন্বয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা ধীন হাবির ছড়া উত্তর লম্বরী এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করি।
অভিযান চলা কালীন উক্ত এলাকায় একজন সন্দেহ জনক মোটর সাইকেল আরোহীকে তল্লাশী করে বস্তার মধ্যে লুকায়িত অবস্থায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ সাইফুল ইসলাম (২০) কে আটক করা হয়।
অপর দিকে একইসময় কোস্ট গার্ড আউট পোস্ট বাহার ছড়া কর্তৃক টেকনাফ থানাধীন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহ ভাজন একটি ইজি বাইক তল্লাশী করে সিটের নিচে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৫০ লিটার দেশীয় মদ ও ইজি বাইকসহ মাদক কারবারী ওমর ফারুক (২৭) কে আটক করা হয়। অভিযান চলাকালীন মাদক পাচার কারী লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পা কেটে যায়। আভিযানিক দল কর্তৃক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করত উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে উক্ত মাদক পাচারকারী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আটককৃত ইয়াবা পাচারকারী সাইফুল ইসলাম (২০) ও মদ কারবারী ওমর ফারুক (২৭) উভয়েই টেকনাফ থানার বাসিন্দা।
জব্দ কৃত মাদক দ্রব্য, মোটর সাইকেল, ইজিবাইক ও সকল আলামতসহ আটককৃত মাদক কারবারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে।
যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। মাদক পাচার রোধকল্পে কোস্ট গার্ডের এরূপ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের সচেতন মানুষ মনে করেন, মাদবকের বিরোদ্ধে জিরো টলারেন্স এর অংশ হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)র আরো সক্রিয় হওয়া দরকার ।