মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
দিগন্ত জোড়া সোনালী ধান, চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ আর সবুজের মিতালি।তেরখাদা উপজেলার মাঠজুড়ে এখন এমনই চিত্র। কৃষকের সপ্নের সোনার ধান পেকেছে,কিন্তু মৌসুমের শুরুতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এতে করে বোরো চাষিদের মাঝে হতাশা জড়িয়ে পড়েছে। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি ৮০০ টাকা। সাথে দুবেলা খাবার। এতে গৃহস্থের খরচ পড়ছে জনপ্রতি ১ হাজারের উপরে।
বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০ টাকা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর তেরখাদাতে ৮ হাজার ৯৪৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাত যেমন, হীরা ২,৯, ধান সুবর্ন ৩,১২ ও নতুন জাত গোল কাজল ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের কৃষকরা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মেনে উন্নত জাতের ধানের চাষ করেছেন। ফলে ভালো ফলন হয়েছে।
ইতিমধ্যে আগাম ধান পাকা ও কাটা শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে পুরো ফসল প্রস্তুত হয়ে যাবে ঘরে তোলার জন্য। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিক সংকটে। বর্ধিত মজুরির পরও মিলছে না পর্যাপ্ত শ্রমিক। দিনে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি অন্যান্য জেলা থেকেও এবার তেমনভাবে শ্রমিক আসেনি। ফলে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে পরিবারে সদস্যদের নিয়ে ধান কাটতে শুরু করেছেন।
বারাসাত ইউনিয়নের ইখড়ি এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, এ বছর হীরা - ২ ধানের চাষ করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছি না। সদর ইউনিয়নের পানতিতা এলাকার কৃষক রাসেল শেখ বলেন, পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, কিন্তু শ্রমিক নেই। তাপমাত্রা এত বেশি যে কাজ করা কঠিন। ঝড়, বৃষ্টির আগে ধান ঘরে তুলতে পারবো কিনা তা নিয়ে এখন দু:শ্চিন্তায় আছি। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
বিশেষ করে নতুন জাতের ধানের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। শ্রমিক সংকট কিছু এলাকায় থাকলেও মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত ধান কেটে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।