হারাধন চক্রবর্তী, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
মীরসরাই উপজেলার সর্ব দক্ষিণের জনপদ সীতাকুন্ড ও মীরসরাইয়ের মধ্যবর্তী সীমান্তে কয়েকটি ভাঙ্গা চোরা সড়কের কারণে স্থানীয় গ্রামের ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়াহেদপুর টু হাইতকান্দি ও সাহেরখালী ইউনিয়নের জনগণের ভোগান্তি বেশী হচ্ছে। আবার সীতাকুন্ডের বগাচতর,বালিয়াদীসহ কযেকটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি ও সীমাহীন।সরেজমিনে দেখা গেছে,মীরসরাইয়ের সর্ব জন সীতাকুণ্ডের নিকট বর্তী বড়দারগোহাট টু কমরআলী- সাহেরখালী বেড়িবাঁধ সড়কটি মীরসরাই উপজেলার ১৪ নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের বড় অংশ।আবার ডোমখালী, সাহেরখালীর অংশে পড়েছে ভূইয়ারহাট ও সমিতির হাট এলাকা।এ অঞ্চলের সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।এসব অঞ্চলে প্রায় ২৫ টি গ্রামজুড়ে এক লক্ষ মানুষের বসবাস। এ সড়কের কয়েকটি জায়গায় কার্পেট ও কংক্রিট পাথর ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে রিক্সা, সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপ,মাইক্রো,কার মিনিবাস চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। জালাল আহমেদ নামে এক পথচারী বলেন,বৃষ্টির দিনে ভাঙ্গা সড়কে শিক্ষার্থীদের স্কুল- কলেজে আসা- যাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে।ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় কোমল মতি শিক্ষার্থীদের স্কুল – কলেজে যাতায়াতের দূর্ঘটনার শিকার ও হচ্ছে। মীরসরাই শিল্প জোনে অনেক গাড়ী এ সড়কপথে যাতায়াত করত এখন সড়কের এ অবস্থায় অন্যপথে যাচ্ছে ওরা।কমর আলী বাজারে ফার্মেসী ব্যবসায়ী শিপ্রা রানী চক্রবর্তী বলেন, বিশেষ এ সড়কে কোন মুমূর্ষু রোগী বা গর্ভবতী মহিলাদের যাতায়াতে অনুপযোগী। এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন,এই সড়কটি মীরসরাই উপজেলা এলাকায় হলেও সীতাকুণ্ড উপজেলায় এলজিইডির কোন বড় সড়ক না থাকায় পূর্বের সরকারের আমলে এ সড়ককে সীতাকুণ্ড উপজেলার এলজিইডির অধীনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সড়কটির অভিভাবক সীতাকুণ্ড উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো: আলমগীর বাদশা বলেন,কমলদহ থেকে কমর আলী ভায়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৭ হাজার১৪০ মিটার ( প্রায় সোয়া ৭ কিলোমিটার) সড়কটি উন্নয়ন প্রস্তাবনা ডিপিজি তালিকাভুক্তিতে প্রক্রিয়াধীন।আমরা বাজেট অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করবো। সড়কের দুর্দশার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সড়কটির দুর্দশায় সাধারন জনগনের সবজি, মৌসুমী ফল,ধান,মাছ যাবতীয় পন্য বিক্রয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তিনিও এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন।