হুমায়ূন কবির , নিজস্ব প্রতিবেদন:
বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিমদের জন্য অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল আজহা যা কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত। এই দিনটি মূলত আত্মত্যাগ ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। প্রতি বছর হিজরি ক্যালেন্ডারের জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।২০২৫ সালে বাংলাদেশে ঈদ কবে হবে,কতদিন ছুটি থাকবে এবং কী প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশ এই সব বিষয় নিয়েই এই প্রতিবেদন।
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ২০২৫ সালের ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, যদি ২৭ মে চাঁদ দেখা যায়, তাহলে ১ জিলহজ হবে ২৮ মে এবং সে অনুযায়ী ১০ জিলহজ অর্থাৎ ঈদুল আজহা হবে ৭ জুন, শনিবার। তবে এটি নিশ্চিত হবে চাঁদ দেখার পর জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণায়।
সরকারি ছুটির সম্ভাব্য সময়সূচি সরকারের প্রাথমিক ছুটির তালিকা ও পূর্ববর্তী বছর গুলোর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ঈদুল আজহার জন্য মোট ছুটি হতে পারে ৫ থেকে ৬ দিন।
সম্ভাব্য ছুটির তারিখ গুলো হলো
৫ জুন (বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি। ৬ জুন (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ জুন (শনিবার) ঈদুল আজহার মূল দিন। ৮ জুন (রবিবার) দ্বিতীয় ঈদের ছুটি। ৯ জুন (সোমবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি। ১০ জুন (মঙ্গলবার) অনুমতি সাপেক্ষে ছুটি।
এভাবে ঈদ উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য মোট ছয় দিনের মতো ছুটি হতে পারে, যা গ্রামে যাওয়া ও ঈদ উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়।
ঈদুল আজহার ধর্মীয় তাৎপর্য ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ:) এর আল্লাহর আদেশ পালনের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালন করা হয়। তিনি আল্লাহর আদেশে পুত্র ইসমাইল (আ:) কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হন। আল্লাহ তাঁর আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুসলিমরা প্রতিবছর পশু কোরবানি দেন।
দেশজুড়ে ঈদের প্রস্তুতি ঈদুল আজহাকে ঘিরে গোটা দেশে শুরু হয় ব্যস্ততা। গরু, ছাগল, উটসহ বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট বসে শহর ও গ্রামীণ এলাকায়। মানুষ গ্রামে যাওয়ার জন্য ট্রেন, বাস ও ফেরিতে ভিড় করেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো নিতে থাকে নানা প্রস্তুতি। শহরবাসীর জন্য অনলাইন পশুর হাটও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
চাঁদ দেখা ও ঈদের ঘোষণা বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির মাধ্যমে চাঁদ দেখা ও ঈদের দিন ঘোষণা করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাঁদ দেখার তথ্য সংগ্রহ করে সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২৫ সালের ঈদুল আজহা চাঁদ দেখা অনুযায়ী ৭ জুন শনিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে। ছুটি মিলিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ দিনের বিরতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের আনন্দের পাশাপাশি কোরবানির মূল শিক্ষা, অর্থাৎ আত্মত্যাগ, সংযম ও মানবিকতাও আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।