আব্দুল্লাহ আল মোমিন, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
পাবনা জেলা প্রশাসক মোফিজুল ইসলাম মানবিকতা ও জনসেবার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে চারজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর পড়াশোনার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের মেধাবী ছাত্রী মেঘলা খাতুনের জন্য আগামী পাঁচ বছরে মোট তিন লাখ টাকা সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। এই সহায়তার আওতায় মেঘলা প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে পাবেন, যা টিউশন ফি, হোস্টেল ভাড়া, খাবার, বই-পত্র, পরীক্ষার ফি এবং অন্যান্য খরচ মেটাতে ব্যবহৃত হবে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুধু শিক্ষা নয়, অসহায়, দরিদ্র এবং চিকিৎসা ব্যয় বহনে অক্ষম ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৫৮২ জনকে মোট ৩৬,৩৯,৭০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক মোফিজুল ইসলাম বলেন, “প্রশাসনের শক্তি জনগণের আস্থায় নিহিত। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কষ্টে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য। প্রকৃত অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা যেন সহায়তা পান, সেজন্য আমরা সবসময় সচেষ্ট। এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”পাবনার সাধারণ মানুষ এবং সামাজিক সংগঠনগুলো জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই সরাসরি সহায়তা জেলা প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়িয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে মানবিক নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা অন্যান্য জেলার জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে।