1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন

ট্যাক্সি ড্রাইভার এখন রাজউকের কম্পিউটার অপারেটর!!অবৈধভাবে ২০০ কোটি টাকার আয়ের অভিযোগ 

জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা

রাজধানী সহ সারা দেশে এখনো কিছু অপরাধী অপরাধ করে যাচ্ছে! বৈষম্য তুমি কোথায়! এমন প্রশ্ন এখনো গুমড়ে মোরে কিছু মানুষের হৃদয়ে।অভিযোগ উঠেছে দুর্দান্ত এক অপরাধী কে নিয়ে।জিনি ড্রাইভার ছিলেন, ড্রাইভার এখন রাজউকের কর্মকর্তা হয়ে কোটি টাকার মালিক এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্দান্ত এই অপরাধীকে নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন। কে এই ট্যাক্সি ড্রাইভার?

আসুন দেখি। কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলে তটস্থ। দুর্নীতির দায়ে দুদকের মামলায় বরখাস্ত হলেও দপ্তর নেই। অথচ রাজউকের এনেক্স ভবনের নিচতলায় কামরা ব্যবহার করে নিয়মিত নিজস্ব অফিস করছেন। নিজস্ব প্রতাব ও প্রভাব বিস্তার করার জন্য দৈনিক ভিত্তিতে ৫ থেকে ৭ জন লোক নিযুক্ত রাখছেন। তার মতের বাইরে গেলেই শুরু হয় জুলুম ও নির্যাতন।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনিও সাপের ছলং পাল্টিয়ে ফেলেন। ৫ ই আগস্ট,২০২৪ খ্রি: স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পরই তিনি রাজউকের নীচ তলায় শ্রমিক লীগের অফিস দখলে নেন অভিযোগ পাওয়া গেছে । সেখানে বসে বিভিন্ন লোক ধারে এনে জুলুম অত্যাচার করে এমনকি মারধর করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এখন কৌতূহল জাগে কে এই প্রতাবশালী কর্মচারী? নামতার মো: বেলাল হোসেন চৌধুরি (রিপন)। ছিলেন ট্যাক্সি ড্রাইভার হলেন রাজউকের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। বর্তমান কর্মস্থল রাজউকেরই প্রধান দপ্তরে। তার কাছে রাজউকের সকল কর্র্মকর্তা-কর্মচারী জিম্মি। জুলুম অত্যাচার ও দুর্নীতি করে নিজ নামে, তিন স্ত্রীর ছেলে মেয়ে এবং শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনের নামে গড়েছেন ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি গাড়ি ও বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্স। সূত্রে জানা গেছে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। রাজউকে নিজস্ব দপ্তরে বসে তিনি একেবারে রাজার মত আচরণ করেন। রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, তার হাবভাব দেখলে মনে হয় তিনি সেই আগের দিনের একজন রাজা। তার প্রথম স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানে ১০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ৪ কোটি টাকা খরচ করে গড়েছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। বাড়ির ভেতরে অত্যাধুনিক সুইমিং পুল। মানুষকে অত্যাচার করলেও তার ভাই বোনের নামে রয়েছে ২ থেকে ৩ কোটি টাকার আবাদি জমি। তার দ্বিতীয় স্ত্রী থাকতেন ঢাকার শান্তিনগরে ১৭৫০ স্কয়ার বর্গফুটের ফ্ল্যাটে। এই ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার মূল্য এক কোটি আশি লক্ষ টাকা। তার তৃতীয় স্ত্রী নিকেতন আবাসিক এলাকায় ৩,১০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। এর বাজার মূল্য সাত থেকে আট কোটি টাকা। তিনি তার তৃতীয় স্ত্রীকে শখের বসে এই ফ্ল্যাট কিনে দেন। ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় ৮ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে দুটি দামি গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়িতে চড়ে ঢাকা শহর চষে বেড়ান মো: বেলাল হোসেন চৌধুরি (রিপন)। যখন খুশি চলে যান গ্রামের বাড়িতে। সরকারকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ও তদন্তকে এড়িয়ে চলার জন্য তিনি শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে নিকুঞ্জ ও নিকেতন এলাকায় প্রায় বিশ থেকে চল্লিশ কোটি টাকার জমি করেছেন। রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কাজ করেন। এ সময় তিনি আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অথচ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই তিনি বনে যান নব্য বিএনপি।

এই বিএনপির পরিচয় দিয়ে তিনি রাজউকে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। তিনি সর্বদাই মির্জা আব্বাসের পরিচয় দেন এবং বলেন মির্জা আবব্বাস তাকে চাকুরি দিয়েছেন তাই কেউ তাকে কিছু করতে পারবে না। তার তাণ্ডবে রাজউকের নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারীগন টিকতে পারছেন না।

কবে তার জুলুম অত্যাচারের অবসান হবে তা কেউ জানে না। তবে ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন এভাবে আর কতদিন চলবে? রাজউকের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া। এ ব্যাপারে মো: বেলাল হোসেন চৌধুরি (রিপন) এর মতামত/বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিন তা রিসিভ করেন নাই। তার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে এই প্রতিবেদকের তদন্ত অব্যাহত আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট