মোঃ দোয়েল আহমেদ, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মানবিক গুণাবলির অধিকারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।
তাঁর কার্যকালীন সময়ে মাদক নির্মূল, নারী নির্যাতন রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওসি তৌহিদুল ইসলামের উদ্যোগে থানায় চালু হয়েছে “ওপেন ডে” প্রথা, যেখানে সাধারণ মানুষ সরাসরি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরতে পারছেন। এতে করে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
একদিকে যেমন তিনি অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন, তেমনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। দুঃস্থ মানুষদের সহায়তা, পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো, দুর্যোগকালীন সময়ে খাবার বিতরণ এবং অসহায়দের জন্য চিকিৎসা সহায়তা—সবকিছুতেই তাঁর আন্তরিক অংশগ্রহণ রয়েছে। অনেক সময় তিনি নিজ খরচে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর নেতৃত্বে বাগমারা থানা একটি ‘জনবান্ধব থানা’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। থানায় সেবাপ্রত্যাশীরা হয়রানিমুক্তভাবে সহজেই পুলিশি সেবা পাচ্ছেন, যা আগে অনেকের কাছে কল্পনাতীত ছিল।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও সাধারণ জনগণ ওসি তৌহিদুল ইসলামের সৎ ও পেশাদারিত্বপূর্ণ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি একজন অভিভাবকের মতো—যিনি আমাদের সমস্যা নিজের সমস্যা মনে করে সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়েন।”
ওসি তৌহিদুল ইসলাম নিজেও বলেন, “পুলিশ জনগণের জন্য, তাই জনগণের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমি চাই বাগমারা হোক অপরাধমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ একটি উপজেলা।”
তাঁর এই মানবিক, সৎ ও সাহসী ভূমিকাই তাঁকে শুধুমাত্র একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নয়, বরং একজন সত্যিকারের জননন্দিত পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।