মোঃ সুজন আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আওয়ামী তাঁতী লীগ নেতা থেকে ভল পাল্টে পৌর বিএনপি নেতার তালিকায় নাম লিখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন শাহিন আলম(৩৬) নামের এক ব্যক্তি। শাহিন আলম ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মৃত কুরবান আলীর ছেলে। চলতি বছরের জানুয়ারির ৮ তারিখে পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম তারিখে ৯ নম্বর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম বুরুজ যৌথ স্বাক্ষরিত পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত ওই কমিটির ক্রমিক নম্বরের ১৪ নম্বরে মৃত কুরবান আলীর ছেলে শাহিন আলম সরদার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। তবে শাহিন আলম আওয়ামী তাঁতি লীগের কোন পদে ছিলেন না বলে তিনি নিজেকে দাবি করেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতী লীগের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার মোঃ রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি স্বাক্ষরিত ভাঙ্গুড়া উপজেলা তাঁতী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিতে কোরবান আলীর ছেলে শাহিন আলম প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও তার স্ত্রী বিজলী খাতুন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা পতনের পর ভল পাল্টে শাহিন আলম বিএনপির নেতাকর্মীর সাথে মিশতে শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি পৌর বিএনপির নয় নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিতে ভুল করেন নি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই কমিটির তালিকা প্রকাশ পেলে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতি লীগ থেকে কিভাবে বিএনপিতে ঠাই করে নিলেন শাহিন আলম।
ঘটনার বিষয় অভিযুক্ত শাহীন আলম বলেন, তিনি কোন দিন তাঁতী লীগের নামই শোনেন নাই সেখানে পদ পদবী তো দূরে থাক। কেউ হয়তো শত্রুতা করে বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতি লীগের ভাঙ্গুড়া উপজেলা কমিটিতে নাম দিয়ে থাকতে পারেন বলে দাবিও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বুরুজ বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী তাঁতীলীগ থেকে পৌর বিএনপিতে প্রবেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি শাহিন আলম নামের এক আওয়ামী তাঁতীলীগ কমিটি থেকে পৌর বিএনপিতে প্রবেশের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে তার কোনো সত্যতা নেই বলে দাবী করেন।