বিশেষ প্রতিবেদক কক্সবাজার
নিরিবিলি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা মরহুম মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের সহধর্মীনী ও কক্সবাজার সদর রামু ঈদগাঁও আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎসজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজলের মমতাময়ী মা সদ্য প্রয়াত মরহুমা ছালেহা খানম ১৯৪২ সালে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বাবা ছিলেন হাজী আবদুল জলিল, তাদের পরিবারে ১১ ছেলে মেয়ের মধ্যে ছালেহা খানম ছিলেন ৪র্থ।
তিনি কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি ও কক্সবাজার সরকারী কলেজ থেকে এইচ, এস,সি পাশের পর ১৯৬২ সালে কক্সবাজার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর সন্তান, বিশিষ্ট শিল্পপতি নিরিবিলি গ্রুপের চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে হয়।
দাম্পত্য জীবনের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে চট্রগ্রাম দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র মহিলা এমপি মনোনীত হয়ে মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। পাশাপাশি সমাজ ও রাজনীতিতে নারীদের অংশ গ্রহন ও সক্রিয় ভূমিকার বার্তা দিয়েছেন।
মরহুমা একজন রত্নগর্ভা মা যিনি অসাধারণ দৃঢ়তা, মেধা ও ত্যাগের মাধ্যমে পরিবার ও সমাজের জন্য অনন্য অবদান রেখেছেন।
তিনি একইসাথে রাজনৈতিক কর্মী এবং গৃহিণী হিসেবে দুটি চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা সামলিয়েছেন যা তাঁর অসামান্য সময় ব্যবস্থাপনা ও ধৈর্যের পরিচয় দেয়।
সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
তাঁর পরিবারে ৪ পুত্র ১কন্যা সন্তানের মধ্যে সবার বড় কন্যা জেসমিন রহমান, ১ম পুত্র লুৎফুর রহমান কাজল, ২য় পুত্র মশিউর রহমান রাজন, ৩য় পুত্র মাহবুবুর রহমান শাহীন, ও ৪র্থ পুত্র সদ্য প্রয়াত মোর্শেদুর রহমান তুহিন।
গৃহস্থালি ও তাঁর স্বামী মরহুম মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত নিরিবিলি গ্রুপের পরিচালক হয়ে অনন্য ভূমিকা রেখে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন।
সন্তানদের শিক্ষা ও উন্নত জীবনের জন্য তিনি নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগের মাধ্যমে একজন সত্যিকারের মায়ের মহত্ত্ব কে প্রস্ফুটিত করেন ।
তাঁর সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো পরিবার ও সমাজের জন্য গর্বের বিষয়।
তাঁর জীবনী অধ্যবসায়, ও দেশপ্রেমের এক জীবন্ত দলিল, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নারী যিনি মাতৃত্ব, রাজনীতি ও সামাজিক দায়িত্বের মধ্যে সমন্বয় করে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন।
তাঁর জীবন সংগ্রাম, সাফল্য ও মানবিক গুণের এক অনবদ্য কাহিনী।