1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শুকনো মৌসুমেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বড়াল নদীর ক্ষতি না করে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সনদ ব্যতীত ডাক্তার পদবি ব্যবহার করায় ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন চৌধুরীর জলঢাকায় আগমন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আত্মপ্রকাশ  উপজেলা প্রেসক্লাব নাগেশ্বরী এর নতুন কমিটি গঠন  যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ বোমা বিস্ফোরণে আ,হ,ত ৩ শিশুর একজনের মৃ,ত্যু বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নি,হ,ত  ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন পাবনার আটঘরিয়ায় ড্রামট্রাক মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি,হ,ত-১ মেহেরপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিশুদ্ধ পানিসহ বাদ্যযন্ত্র বিতরণ

দুই উপদেষ্টার কক্সবাজার সফর সরকারি জায়গায় উদ্ধার অভিযান 

মনজুর আলম স্টাফ রিপোর্টার 
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

মনজুর আলম স্টাফ রিপোর্টার 

কক্সবাজার জেলা শহরের প্রধান নদী বাঁকখালী এখন দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। শহরের ময়লা–আবর্জনা ফেলে নদীর তলদেশ ভরাট চলছে। নদীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। আর এই দখল-দূষণ সরেজমিনে দেখে হতবাক সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট দুইটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটসহ বিভিন্ন অংশ সরেজমিনে পরিদর্শনে যান নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

কস্তুরাঘাটে পৌঁছে দুই উপদেষ্টা বাঁকখালী নদীর সীমানা সংলগ্ন মানচিত্র দেখেন। এসময় কক্সবাজার পৌরসভার ময়লার স্তুপ, দখলে দেখে দুই উপদেষ্টা যান পেশকার পাড়ার অংশে। যেখানে এখনও জোয়ার-ভাটার পানি আছে এবং ট্রলার ভিড়ে- এমন স্থান দখলের দৃশ্য দেখে হতবাক হন তারা।

এসময় দ্রুত নদীর তীর দখল উচ্ছেদ হবে বলে জানান উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বন্দর করব, বাকিরা দখল করবে তা হয় না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। নদীর নির্ধারিত সীমানা রয়েছে, যা গেজেট আকারে আছে। এর মধ্যে যারা দখল করে আছে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্ছেদ করা হবে। অনেক বছর ধরে এই দখল প্রক্রিয়া। নদী বন্দর করতে হলে নদী দরকার। নদীর তীর দখল উচ্ছেদ দ্রুত হবে। সরে যেতে আর সময় দেওয়া হবে না।’

এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে অনুমানিক ১২ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার করে বনবিভাগকে দিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তথাকথিত উন্নয়ন এবং ব্যক্তির স্বার্থে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের কয়েকটি কাজ আমরা অগ্রাধিকার হিসেবে ধরেছি। কক্সবাজারের ৭ শত একটা বন প্রশাসকে, ১৫৫ একর বনের জায়গা নিয়ে একজন ব্যক্তির নামে স্থাপনা হচ্ছে। ২০ একর জমিতে ফুটবল ট্রেনিং সেন্টার হওয়া কথা ছিল। বেজাকে দিয়ে দিয়ে চিংড়ি ঘের করা জায়গা, সব নিয়ে নেওয়া হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের মানুষের অনেক দিনের দাবি বাঁকখালীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করা। আগে যখন পরিবেশ কর্মী ছিলাম এসেছিলাম। এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে এসেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, হাইকোর্ট থেকে স্থিতাবস্থা নিয়ে আছে, এসব আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ সংকটাপন্ন ইসিএ এলাকায় কার প্রতিষ্ঠান আছে, তা আমার দেখার বিষয় না। আমার কাজ ইসিএ এলাকায় অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা তা দেখা। অনুমোদন ছাড়া যার প্রতিষ্ঠান থাকবে তা উচ্ছেদ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট