মোঃ সোহেল রানা জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা।
রাজধানীর খিলক্ষেত বরুয়া এলাকায় বসবাসরত মোঃ রুহুল আমিন রুবেল(৩৯), এর মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার রুমানা(১৪)। পাশে বসবাস করে একই এলাকার
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে, নিলয় মোল্লা (১৬), সেই ছেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কিছু দিন যাবত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে মোবাইল ফোনে আলাপ আলোচনা চলে।
পরে হঠাৎ বিগত ০৯/০৪/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় মেয়ে স্কুলে যাবার নাম করে বাসা থেকে জামা কাপড় নিয়ে ছেলের কাছে এসে পড়ে। পরে ছেলেটা মেয়েটাকে বুঝাতে চেষ্টা করে। পরে বুঝাতে না পেরে ছেলেটা তার পরিবারকে জানায়।
তারপর ছেলের বাসায় মেয়ে জামাকাপড় সহ এসে হাজির হয়। এতে মহল্লার সকল লোক জন জানাজানি হয়। ছেলের বাসায় থেকে মেয়েকে নানান ভাবে বুঝিয়ে পাঠানোর চেষ্টা করে আসছে ছেলের পরিবার। কিন্তু মেয়েটি কোনো কথাই শুনছে না। মেয়ের একটাই কথা সেই নিলয়ের সঙ্গে থাকবে।
এই দিকে বাড়ি পাশাপাশি থাকাতে মেয়ের ঘটনা শুনে, মেয়ের পরিবার থেকে লোক আসে।আর এই দিকে আশেপাশের এলাকার লোকজনের সমাগম হয়েগেছে।
এক পর্যায়ে জোর করে মেয়ের পরিবার মেয়েকে অটো যোগে বাড়ি নিয়ে যায়। তখন সময় আনুমানিক দুপুর ০২:০০ ঘটিকা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়ের বাবা স্থানীয় খিলক্ষেত থানায় একটি এজাহার মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ০৯/২০২৫। তারিখ ০৯/০৪/২০২৫ইং।
উক্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন , জোর পূর্বক অপহরণ, ৪০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ছিনতাই , এবং মেয়ের মায়ের ৩৫ হাজার টাকা দামের কানের দুল ছিনতাই ইত্যাদি আরো মেয়েকে আটকে রেখে মেরে ফেলার হুমকি।
পরে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এজহার মামলা সম্পর্কে সবকিছু মিথ্যা ও বানোয়াট। মিথ্যা ঘটনা লেখে ছেলের পরিবারের প্রতি টাকা দাবি করা। মামলা দিয়ে ছেলের পরিবারকে হেনোস্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। স্থানীয় প্রকাশ্যে ঘটনা দেখা জনগণ মারফত জানতে পারলাম যে, মামলার ঘটনা সম্পর্কে বর্ণনা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
এখন বরুয়া এলাকার ছেলে নিলয় সহ কয়েকজন কে আসামি করে মিথ্যা মামলা এজহার দায়ের করা হয়েছে।তাই এই ছেলে পড়াশোনা বাদ দিয়ে আসামি হয়ে পরিবার ছাড়া ফেরারী। এখন এই দ্বায় ভার কে নিবে? প্রশাসন তদন্ত ছাড়া এইসব ছাত্রদের আসামি করে খুঁজে বেড়াচ্ছে।