1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শুকনো মৌসুমেও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বড়াল নদীর ক্ষতি না করে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সনদ ব্যতীত ডাক্তার পদবি ব্যবহার করায় ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন চৌধুরীর জলঢাকায় আগমন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের আত্মপ্রকাশ  উপজেলা প্রেসক্লাব নাগেশ্বরী এর নতুন কমিটি গঠন  যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ বোমা বিস্ফোরণে আ,হ,ত ৩ শিশুর একজনের মৃ,ত্যু বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নি,হ,ত  ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন পাবনার আটঘরিয়ায় ড্রামট্রাক মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি,হ,ত-১ মেহেরপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিশুদ্ধ পানিসহ বাদ্যযন্ত্র বিতরণ

৬ কোটি টাকার সেতু পার হতে হচ্ছে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে; ভোগান্তিতে ১৩ গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ

নাজিরপুর প্রতিনিধি (পিরোজপুর)
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

নাজিরপুর প্রতিনিধি (পিরোজপুর)

পিরোজপুর জেলা নাজিরপুর উপজেলার চাঁদকাঠি এলাকার তালতলা শাখা নদীর ওপর নির্মিত ৬৬ মিটার দীর্ঘ সেতু স্থানীয়দের জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। তবে সেই স্বপ্নে কিছুটা অন্ধকার ঢেকে গেছে, কারণ সেতুর মূল কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক এখনো নির্মিত হয়নি। ফলস্বরূপ, সেতুর দুই পাশে কাঠের সিঁড়ি তৈরি করে, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রায় ১৩ গ্রামের হাজারো মানুষকে। স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, অফিস সহ চিকিৎসার জন্য যাতায়াতকারীদের প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ সিঁড়ি দিয়ে সেতু পার হচ্ছেন, আর তাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ হয়ে উঠছে এক অনিশ্চিত যাত্রা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলার চাঁদকাঠি এলাকার তালতলা শাখা নদীর ওপর ২০২০ সালের ২৩ মার্চ ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য নাওটানা-পাকুরিয়া পাকা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের সময়সীমা ছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিমরান মায়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ধীরগতিতে মূল সেতুর কাজ প্রায় শেষ করলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই পুরো টাকা তুলে নেয়। ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা সেতুটি এখন এলাকার মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তালতলা শাখা নদীর পশ্চিম প্রান্তে পাকুরিয়া, শিংখালী, গোলারহাট, কদমবাড়ি, আছরা, জুগিয়া, সাচিয়া ও লড়া গ্রাম। পূর্ব প্রান্তে নাওটানা, জিলবুনিয়া, রামনগর, চাঁদকাঠি ও কলারদোনিয়া গ্রাম। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক বিহীন সেতুর পূর্ব প্রান্তে দীর্ঘা মহিলা কলেজ, দীর্ঘা টেকনিক্যাল কলেজ, গাওখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বৈঠাকাটা কলেজ, চাঁদকাঠী আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, নাওটানা বিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলারদোনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলারদোনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লেবুজিলবুনিয়া দাখিল মাদরাসা এবং গাওখালী বাজার ও চাঁদকাঠি বাজার, বৈঠাকাটা বাজার, কলারদোনিয়া বাজার ও দীর্ঘা বাজার রয়েছে। পশ্চিম প্রান্তের আটটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, উপজেলা সদর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য সিঁড়ি দিয়ে সংযোগ সড়ক বিহীন সেতু পারাপার হয়। আবার সেতুর পূর্ব প্রান্তের গ্রামগুলোর মানুষের পশ্চিম প্রান্তের গ্রামগুলোতে যাওয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে সেতুটি পার হতে হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নাওটানা-পাকুরিয়া মূল সেতুর মাঝ বরাবর রেলিংয়ের কিছু কাজ বাকি থাকলেও সেতুটির মূল অংশের কাজ প্রায় শেষ বলা যায়। তবে নির্মাণ হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক। ফলে সেতুর দুই পাশে কাঠের সিঁড়ি বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারন সহ স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা । আগে এখানকার মানুষ নদীতে খেয়া দিয়া পারাপার হলেও সেতু হওয়ায় পর খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। তাই কাঠের সিঁড়ি বেয়ে সেতু পারাপারই একমাত্র ভরসা তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার বলেন, ব্রিজটি র্দীঘদিন অকেজো ছিলো। সেই একটু কাজ করে আর কাজ করতেছে না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারতেছে না। বয়স্কদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সেতুর সংযোগ সড়কটা যেন দ্রুত করে দেওয়া হয়।

রাইসুল ইসলাম জানান, ব্রিজের কাজ সমাপ্ত না করে ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ব্রিজের এপার-ওপার সিড়ি ও বালুর বস্তা দিয়ে চলার ব্যবস্তা করি। আমি নিজে কয়েকবার এনিয়ে অফিসে গেলে তারা বলেছে ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। অচিরেই আমরা ব্যবস্থা নিবো।

স্কুল ছাত্র মিত্রা বিশ্বাস বলেন, আমাদের সব থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে বৃষ্টির সময়। অনেকেই এখান থেকে পড়ে গেছে ওঠা-নামার সময়ে। খেয়া পার হয়ে অনেক দূর ঘুরে আগে আসতে হত । এখন ব্রিজ পার হতেও সমস্যা হচ্ছে।

আরিফুল ইসলাম বলেন,এখান থেকে নামা ওঠায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজটি যে সময় কাজ শুরু করেছে তাতে আমার মনে হয় এর মধ্যে ১০টি ব্রিজে কাজ শেষ হত। চলাচল করতে পারি না। রোগী নিয়ে চিকিৎসার জন্য যাওয়া আরো বেশি সমস্যা।

পিরোজপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে বলেন, নাওটানা সেতুটির মূল অংশের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়কের (অ্যাপ্রোচ) কাজ বাকি আছে। ৫ই আগষ্টের পরে দেশের যে পরিস্থিতি এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট যে ঠিকাদার এর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেছি, আমরা এখনো ঠিকাদারতে পাই নাই। আমরা খুব দ্রুতই সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়কের কাজ করার ব্যবস্থা করবো। এই ব্রিজের সংযোগের (অ্যাপ্রোচ) কারনে অত্র এলাকার লোকজনের যাতযায়েতের খুবই কষ্ট হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট