হুমায়ুন কবির জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নান্দাইল রোড গাংগাইল হাওর নামে স্হানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের হ্যাচারীর পঁচা ডিম ফেলে আসার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে আসছে। এসব বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাতাস দূষিত হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
স্হানীয়রা বলেন এই বিষয়ে ২০২১ সালে তৎকালীন সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদ উদ্দিন এর নিকট লেখিত ভাবে অভিযোগ করেছিলেন। তবে দুঃখের সাথে বলতে হয় যে তখন লেখিত অভিযোগেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে ১২ই মে ২০২৩ সালে স্হানীয় সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠন ও উলুহাটি পাওয়ার ইয়াং জেনারেশন ডিম ফেলতে থাকা অবস্থায় হাতে নাতে ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন। জানা যায় তাদের পিছনে প্রভাবশালী মোদক দাদারা অর্থের মাধ্যমে আইনকে প্রভাবিত করেছিল। এই পরশ্বই পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা আবারও বেপরোয়া ভাবে পঁচা ডিম ফেলতে শুরু করে। শুধু তাই না তাদেরকে দেখে আসে পাশে অন্য হ্যাচারীর মালিকেরাও পঁচা ডিম ফেলা শুরু করে। পঁচা ডিমের দুর গন্ধে যোগের হাওর এলাকা এততাই অশুভনীয় হয়ে উঠেছে যে শ্বাসরোদ্ধকর পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দুঃসাধ্য হয়ে পরে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক যাএীরা বমি করতে বাধ্য হন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উলুহাটি পাওয়ার জেনোরেশান সাধারণ জনগণ কে গড়ে তুলেন ও পঁচা ডিম ফেলা বন্ধের জন্য সোচ্চার হন।
স্হানীয়রা,স্হানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে পঁচা ডিম ফেলার আস্তানা ভেঙ্গে দেন যার ফলে স্হানীয়রা উলুহাটি ইয়াং জেনারেশন সংগঠন কে প্রশংসা করেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে গত ছয় মাস পঁচা ডিম ফেলা বন্ধ থাকার পরেও এখন এক মাস ধরে বিভিন্ন হ্যাচারি ও পোল্ট্রির মালিকেরা রাতের অন্ধকারে পঁচা ডিম ফেলা শুরু করে। যোগের হাওর এলাকা প্রায় ১ কিলোমিটার দুর পর্যন্ত এই দুর্গন্ধ এলাকার বায়ু বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে হ্যাচারীর মালিকরা ওই রাস্তাকে তাদের ব্যক্তিগত মালিকানা মনে করছে।
এই পরিস্থিতিতে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিন সাত্তার এর নিকট (১০ এপ্রিল ২০২৫) উলুহাটি পাওয়ার ইয়াং জেনারেশন এর পক্ষ থেকে লেখিত অভিযোগ ও সাক্ষাৎ করেন। তিনি এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।