মোহাম্মদ মহি উদ্দিনঃ স্টাফ রিপোর্টার
কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে সি ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় এই পথে সি ট্রাক সার্ভিসের উদ্বোধনের পাশাপাশি মহেশখালী ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে পল্টুন।
সি ট্রাক যাত্রা শুরুর ৩৫ মিনিটের মধ্যে মহেশখালী জেটিতে পৌঁছায়। এ সময় স্থানীয় মানুষের মাঝে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। এই সি–ট্রাকে কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালীতে একসঙ্গে ২০০–২৫০ জন যাত্রী যাওয়া–আসা করতে পারবেন।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে যাতায়াতের জন্য ১০ কিলোমিটার সমুদ্র পথে ফেরি চলাচলের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।
এই সি ট্রাকটিকে দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে দেখছেন দ্বীপবাসী।
প্রথমবারের মতো পন্টুন স্থাপন ও যাত্রী নিয়ে সি-ট্রাক মহেশখালী জেটি ঘাটে ভিড়তে দেখে মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
কক্সবাজার হতে নৌপথে সি-ট্রাক নিয়ে মহেশখালী আগমন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালীর কৃতি সন্তান বর্তমান সরকারের উপ-সচিব আবুল হাসেম,
মহেশখালী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল আহমদ, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের দাতা সদস্য, ঢাকাস্থ মহেশখালী সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগি আব্দু শুক্কুর সিআইপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, এনসিপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এস.এম সুজা উদ্দীন, কবি ও সাংবাদিক রুহুল কাদের বাবুল, মহেশখালী প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন.. মহেশখালী-কুতুদিয়ার সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম বিএ, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট হামিদুল হক, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা বাঁশী, মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক জিকির উল্লাহ জিকু, বিআইডব্লিউটি ঘাটের কতৃপক্ষ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কর্মী, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাবি (বিআইডব্লিউটিএ), গত ১৫ বছর ধরে একটি সিন্ডিকেটের বাধায় এই রুটে সী-ট্রাক চালু করা যায়নি। এ নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক প্রশাসন এ.কে.এম আরিফ উদ্দিন বলেন, আজ থেকে কক্সবাজার মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলক সি-ট্রাক চালু হয়েছে। পরে অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করবে।
উপস্থিত জনসাধারণ জানান, তাদের দীর্ঘদিনের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। এই সি–ট্রাকের বদৌলতে মানুষের ভোগান্তি অনেক কমে আসবে। বিশেষ করে অসুস্থ, বৃদ্ধ লোকজন ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকার হবে এবং এই নৌরুটে স্পিডবোটে যাতায়াতের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা রোধে সি ট্রাক চালুর বিকল্প ছিল না। এটি চালুর ফলে মহেশখালীর মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।