1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
রাতের আধারে ধূলিসাৎ করে দিল কুল বড়ই চাষের স্বপ্ন কুড়িগ্রামে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ছদরুল আলম বাবু মাষ্টার গ্রেফতার বেনাপোল টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে মোবাইল ও কসমেটিক্স আটক করেছে বিজিবি বাস্তা সবুজ সংঘ মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকারের ঘোষণা ঈদের আগে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন সেনবাগ সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  সাংবাদিক লিয়াকত আলী খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন নোয়াখালীতে সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বর্তমান যুগের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কয়েকটি “এআই” টুলস

২৪ বছর পর ফিরে চমকে দিলেন ডেনমার্কের মারিয়া

মাহমুদুল হাসান আঃ কাদির। বিশেষ প্রতিনিধি। 
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হাসান আঃ কাদির বিশেষ প্রতিনিধি। 

বিচ্ছেদের পর প্রতীক্ষায় ছিলেন ২৪ বছর, ফিরে চমকে দিলেন ডেনমার্কের মারিয়া ।

প্রকৃত ভালোবাসা কখনোই হারিয়ে যায় না। কথাটা আবারও প্রমাণ করেছেন ড্যানিশ নারী রোমানা মারিয়া বসি। ভালোবাসার টানে ডেনমার্ক থেকে বরগুনায় প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফিরেছেন মারিয়া। নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ভালোবাসার প্রিয় মানুষ মাহবুবুল আলম মান্নুর কাছে ফিরলেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বরগুনা পৌরসভার সদর থানা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মান্নু একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডেনমার্ক থেকে ঢাকায় এসে বিকেল পাঁচটার দিকে মাহবুবুল আলম মান্নুর সঙ্গে বাসযোগে বরগুনায় আসেন রোমানা মারিয়া বসি। পরে সন্ধ্যায় মান্নুর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুনরায় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রবাসে থাকাকালীন ডেনমার্কের বাসিন্দা রোমানা মারিয়া বসিকে ভালোবেসে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বরগুনার মাহবুবুল আলম মান্নু। এর তিন বছর পর ২০০০ সালের দিকে মারিয়া আবারও ডেনমার্কে চলে যায়। তবে কয়েক মাস পর মান্নুরও ডেনমার্কে যাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজন দুই দেশে থাকলেও ২০০৩ সাল পর্যন্ত তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে রোমানা অন্যত্র বিয়ে করলে মান্নুর সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে মান্নুকেও পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে বললে তিনি রোমানার ভালোবাসা ত্যাগ করতে পারেননি। প্রিয়তমার প্রতীক্ষায় প্রায় ২৪ বছর কাটিয়েছেন নিঃসঙ্গতায়। সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে রোমানা আবারও খুঁজে পায় মান্নুকে। দুজনের মধ্যে আলাপচারিতায় পুনরায় বিয়ে করার সম্মতিতে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। আর এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে রোমানাকে দেখতে মান্নুর বাড়িতে ভিড় করছেন মান্নুর বিভিন্ন সহকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

মাহবুবুল আলম মান্নুর বড় বোন পিয়ারা বেগম বলেন, এর আগে রোমানা যখন মান্নুর সঙ্গে ছিল আমাদের সঙ্গে তার ভালোই সম্পর্ক ছিল। ডেনমার্ক চলে যাওয়ার পরও আমাদের সঙ্গে কয়েক বছর পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। দীর্ঘদিন পর মান্নু যখন আমাদের জানায় রোমানাকে সে ফিরে পেয়েছে এবং বাংলাদেশে আসতে চায়, আমরা তাকে আসার জন্য বলি। রোমানা ফিরে আসায় আমারা আনন্দিত।

রেহানা বেগম নামে মান্নুর এক ভাগনি বলেন, আমরা মামাকে বহুবার বিয়ের কথা বলেছি। কিন্তু তিনি কখনোই রাজি হননি। পরে আমরা বুঝতে পেরেছি তার ভালোবাসার মানুষকে তিনি ভুলতে পারেননি। পরে আমরা আর তাকে বিয়ের জন্য না বললেও স্ত্রী রোমানাকে ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে বলেছি। এ ছাড়া আমরাও আল্লাহর কাছে চেয়েছি যাতে আবারও তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়।

মাহবুবুল আলম মান্নু বলেন, বিয়ের পর ২০০০ সালে এক প্রকার জোর করেই রোমানাকে ডেনমার্কে পাঠিয়ে দিই। পরে আমার যাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে আর যাওয়া হয়নি। এ ছাড়া আমি কখন যেতে পারব তা বলতে না পেরে ওর বাবা-মায়ের কথা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে বলি। পরে তিন বছর পর্যন্ত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে রোমানা। পরবর্তীতে ৭ থেকে ৮ বছর আগে ওই স্বামীর সঙ্গে মনের মিল না হওয়ায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা শুরু করে রোমানা। পরে ফেসবুকে আমার আইডি খুঁজে পেলে গত জানুয়ারি মাস থেকে আবারও রোমানার সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয়। একপর্যায়ে আমাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে সম্মতি জানিয়ে রোমানা বাংলাদেশে চলে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট