1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুর মহানগরের বিএনপি’র ৪ নেতাকে বহিষ্কার গাজীপুর মহানগরের বিএনপি’র ৪নেতাকে বহিষ্কার চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোত্তম আমের বাজার নওগাঁ সাপাহারে ইতিমধ্যে আম ক্রেতাএকটু বেড়েছ সাপাহার বাজারে আম বিক্রেতা তুলনামূলক একটু কমেছে। নাশ*কতা মা*মলা*য় গ্রেফ*তার যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান বাদশা পরশুরামে মিশন হেল্প ফাউন্ডেশনের সেলাই মেশিন বিতরণ নলছিটিতে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, মামলায় ১০ দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ মহিপালে সেনাবাহিনীর যৌথ অভি*যানে ১০৫ লিটার বাংলা ম*দ উ*দ্ধার ও একজন গ্রেফ*তার। পরশুরামের বটতলী বাজারে স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের অফিস উদ্বোধন মৌলভীবাজার পৌরসভার দের শহস্রাধিক উপকারভোগীর মাঝে জিআর চাল বিতরণ কোম্পানীগঞ্জের বাগজুর থেকে পুটামারা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সাত মাস অফিস না করেও চাকরি বহাল আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরুল হাসান আরিফ  

মোঃ সুজন আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার 
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুজন আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার 

সাত মাস অফিস না করেও চাকরি বহাল আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরুল হাসান আরিফ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দীর্ঘ সাত মাস অফিস না করেও চাকরিতে বহাল রয়েছেন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম ওরফে ইমরান হাসান আরিফ। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় প্রধান সহকারী পদে চাকরি করেন। আরিফ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এলাকা থেকে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ। এরপর তিনি গত ১৫ আগস্ট গোপনে এক মাসের চিকিৎসা ছুটি নেন মেয়র আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে। সে ছুটি শেষ হলে ১৫ সেপ্টেম্বর আরও তিন মাস ছুটি বাড়িয়ে নিতে গোপনে পৌরসভায় হাজির হন তিনি।

পৌর প্রশাসক তাসমিয়া আক্তার রোজী তিন মাসের ছুটি মঞ্জুর করলে স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে বিধি অনুযায়ী চাকরি হতে তার অপসারিত হওয়ার কথা। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখনও তিনি চাকরিতে বহাল রয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।

স্থানীয়রা জানান, হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আরিফ সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনের আস্থাভাজন ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় ভাণ্ডার রক্ষক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন এবং পৌরসভার প্রধান সহকারী পদে পদোন্নতি পান।

এলাকায় আরিফের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। পৌরসভার একজন কর্মচারী হয়েও উপজেলার সকল ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। প্রায় কোটি টাকা খরচ করে গড়েছেন বিলাসবহুল বাড়ি। গড়ে তুলেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর তার এসব কাজের সহযোগী ছিলেন সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় আরিফ কখনো অফিস করতেন না। তিনি সব সময় দলীয় কর্মকাণ্ড ও ঠিকাদারি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। মাস শেষে অফিসে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন নিয়ে যেতেন।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক সরদার জাফর ইকবাল হিরোক বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতা পলাতক রয়েছেন। শুনেছি, এর মধ্যে গোপনে এসে চিকিৎসা ছুটি নিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। দীর্ঘ সাত মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে কিভাবে তিনি চাকরিতে বহাল থাকেন এমন প্রশ্ন তারও । তিনি চাকরি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এদিকে পলাতক থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক তাসমিয়া আক্তার রোজী জানান,তার চিকিৎসা ছুটি শেষ হওয়ার পর চাকরিতে যোগদান করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। এরপরও তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। ফের তিনি বিনা বেতনে ছুটির জন্য মেইলে আবেদন করেছেন। তবে তাকে আর ছুটি দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ইতোমধ্যে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট