রিপন মিয়া সরকার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা- বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী টু ভেলানগর গ্রামের নতুন রাস্তার বেহাল অবস্থা। ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ। দৈনিক গড়ে ২ শত থেকে ৫০০ শত ছোট বড় গাড়ির এবং কয়েক শত লোক যাতায়াত করে এই রোডে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এবং নবীনগর উপজেলার সাথে আড়াইহাজার বিশ্বনন্দি ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকাতে আসা-যাওয়া করার সহজ মাধ্যম। রূপসদী ভেলানগরের এই রোড। নবীনগর, স্যামগ্রাম, রসুলাবাদ, জীবনগঞ্জ, দরিকান্দি, ভোরের বাজার, এই সমস্ত এলাকার মানুষ খুব দ্রুত সময়ের মাধ্যমে রূপসদী টু ভেলানগরের এই ফারি রোড ব্যবহার করে ঢাকাতে খুব দ্রুত সময়ে পৌঁছে যেতে পারে। এবং হাজার হাজার প্রবাসী প্রবাস জীবনযাত্রায় এই রোড ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে পৌঁছে যায়। অথচ দ্রুত সময় যাওয়ার এই রোডের বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থা । বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন ধরেছে এই রোডে। আড়াইহাজার ফেরিঘাট থেকে খুব দ্রুত সময়ে এই রোডের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় দৈনিক হাজার হাজার গাড়ি। এই রোড ব্যবহার করে গাড়ি চালক গণ খুব অল্প সময়ে যাত্রীদের খুব সুন্দর ভাবে সেবা দিতে পারে। অথচ আওয়ামী লীগের সময় এই রোডের ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়ম এর মাধ্যমে এই রোডের কাজ করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।
রোড করার পরে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নতুন রোডের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়, যার ফলে এখন আর গাড়ি চলাচল করতে পারতেছেনা। ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ। রোড হয়েছে মাত্র এক বছর অথচ এখনই রোডের এই অবস্থা। তার সাথে আবার নতুন করে যোগ হয়েছে, কিছু বালু ব্যবসায়ীদের অত্যাচার।
কিছু বালু ব্যবসায়ীর অসাধু ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে, দৈনিক অনেক বালু বহন কারি পাওয়ারটলি যাতায়াতের কারণে এই নতুন রোডের আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ অতি দ্রুত এই রোডের ব্যবস্থা, না নিলে মানুষের যাতায়াতের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। এই এলাকার অনেক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, রোড করার অল্প কিছু দিনের পর থেকেই রোডে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে, পিচ ঢালাই সঠিক করে দেওয়া হয়নি।
যার কারণে এই রোডের এই বেহাল অবস্থা। অল্প কিছু জায়গা পর পর রোডের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গুনি দেখা দিয়েছে। যার কারণে এলাকা বাসী এবং যাত্রীদের এই রোডে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে।