মোঃ রবিউল হোসেন খান,খুলনা ব্যুরো :
খুলনা নগরীতে ২ টি পিস্তল, ১ টি শর্টগান ও ৭ রাউন্ড গুলি সহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগরীর রায়ের মহল এলাকা থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। হরিনটানা থানার ওসি খায়রুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ দুপুর ৩ টায় কেএমপির সদর দপ্তরে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া) মো: আহসান হাবিব খান জানান,হরিনটানা থানা পুলিশ বুধবার ২ এপ্রিল রাতে জানতে পারে যে, দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।হরিনটানা থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে জনৈক খায়রুল সরদারকে (২৭) সনাক্ত করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানাযায়, হরিনটানা থানাধীন বাঙ্গলবাড়ী এলাকায় তাদের দুই গ্রুপের মধ্য গোলাগুলি হয় এবং অস্ত্র পরিক্ষা নিরিক্ষা করার সময় তার হাতে থাকা পিস্তলের গুলি অসর্তকতার কারনে ফায়ার হয়ে তার বাম হাতের তালুতে লেগে জখম প্রাপ্ত হয়। সে সন্ত্রাসী ফারুক হোসেনের গ্রুপে ছিল। তখন তাকে নিয়ে হরিনটানা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সহযোগিতায় আজ ৩ এপ্রিল সকাল থেকে বাঙ্গালবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা। গুলিবিদ্ধ খায়রুল অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক হোসেনের বাড়ি দেখিয়ে দিলে ফারুক হোসেনের বাড়ি তল্লাসি করা হয়।এসময় ফারুককে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে অস্ত্র আছে বলে সীকার করে। একপর্যায়ে তার দেখানো মতে তার রান্না ঘরে থাকা জালানী কাঠের স্তুপের মধ্য থেকে ২ টি বিদেশি পিস্তল, তার বসত ঘরের মধ্য থাকা টিনের বাক্সে রাখা ১ টি শর্টগান এবং শর্টগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ঘরের ভেতরের দেয়ালের ভেতর থেকে পিস্তলের ৮ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১ রাউন্ড এমটি কার্তুজ, তার বসত ঘরের খাটের নিচ থেকে ১ টি বড় রামদা উদ্ধার করা হয়।সেই সাথে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনার কাজে ব্যবহ্নত একটি রানার মোটরসাইকেল ও ১ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা্যায়, উদ্ধারকৃত শর্টগান বাংলাদেশ পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী চাদাবাজ এবং দুস্কৃতিকারীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করে বলে সীকার করে। তাদের পিসিপিআর যাচাই করে খাইরুলের বিরুদ্ধে ১ মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযান এখোনো চলমান।